গৌরব চক্রবর্তী তাঁর পরের ছবি ‘বিসমিল্লাহ’-এর অপেক্ষায় রয়েছেন। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত এই ছবিতে ধূসর চরিত্রে দেখা মিলবে অভিনেতার। কেরিয়ারের মাইলস্টোন হিসেবেই এই ছবিকে দেখছেন গৌরব। তাই সিনেমা নিয়ে অনেকটা প্রত্যাশাও ঘর করে আছে তাঁর মনে। যদিও টলিউডের বর্তমান বক্স অফিস রিপোর্ট গৌরবকে খানিকটা দোটানায় ফেলেছেন। তবে মনে বিশ্বাস আছে, ঠিক কঠিন পরিস্থিতি পার করে ফেলবে টলিউড।
গৌরবের বিশ্বাস, একাধিক তারকাকে নিয়ে ভালো ছবি নিসন্দেহে দর্শকদের টেনে আনতে পারবে প্রেক্ষাগৃহে। গৌরব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেখুন এখন সময়টা মাল্টি স্টারার সিনেমার। একটা ছবির গল্প যদি ভালো হয় এবং অনেক তারকা তাতে থাকেন, তাহলে সেই ছবি বক্স অফিসে হিট করবেই। আমার মনে হয়, ইসস যদি আরআরআর-এর মতো ছবি আমাদের বাংলাতেও বানানো হত। আমি অপেক্ষা করে আছি সেই দিনটার যখন দেব আর জিত একসঙ্গে কোনও ছবিতে কাজ করবে। আর আমিও হলে যাব সেই ছবিটা দেখতে।’ সঙ্গে গৌরব এটাও জানান যে কোনও ইন্ডাস্ট্রিতেই মেইন স্ট্রিম ছবি সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করে। আরও পড়ুন: আমির-আলিয়া-রণবীররা কেমন সেক্স করেন? করণ জোহরের মুখ হাঁ হয়েছিল উত্তর শুনে
কেন এখন সেভাবে বাংলা সিনেমা ব্যবসা করতে পারছে না তা নিয়েও নিজের মতামত জাহির করেন গৌরব। তিনি বলেন, ‘বাংলা ছবির একটু ইন্টেলেকচুয়াল, যার একটা আলাদা শ্রেণির দর্শক আছে। সৃজনশীলতা বাংলার মানুষের গর্ব। তবে এই ধরনের সিনেমা কিন্তু বক্স অফিসে কাঙ্খিত সাফল্য পায় না। আবার এই ধরনের ছবিই কিন্তু বিশ্বমঞ্চে বাংলা ছবিকে একটা আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। তাই কমার্শিয়াল ছবির যেমন চাহিদা থাকবে তেমনই একটু আলাদা বিষয় নিয়ে তৈরি ছবিরও কিন্তু নিজস্ব দর্শক আছে।’ আরও পড়ুন: ‘তৈমুর তো বোঝেই না’, পাপারাৎজিদের উপর কেন বিরক্ত হলেন করিনা
২০১১ সালে ‘রং মিলান্তি’ দিয়ে সিনেমায় হাতেখড়ি গৌরবের। ৩০-র কাছাকাছি সিনেমায় তিনি কাজ করেছেন। ‘ক্রিসক্রস’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘হাইওয়ে’, ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’-এর মতো ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। কাজ করেছেন ছোট পরদা আর ওয়েবেও।
‘বিসমিল্লাহ’ ছাড়াও ‘মায়া’, ‘টেনিডা অ্যান্ড কোং’, ‘আজকের শর্টকাট’ ছবিতে দেখা যাবে গৌরবকে।