ওপার বাংলার বাসিন্দা গাজী আব্দুন নূর ‘করুণাময়ী রাণি রাসমণি’ দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। বাবু রাজচন্দ্র দাসের ভূমিকায় তাঁর অভিনয়, রানি মা-র সঙ্গে তাঁর রসায়ন, প্রজাদের ওপর ভালোবাসা ও মহানুভবতার কারণে তিনি ঘরের লোক হয়ে উঠেছিলেন বাংলার দর্শকের। তাই তো ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে গেলেও এখনও জনপ্রিয়তায় খামতি আসেনি। নূরকে ভুলতে পারেনি দর্শক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াই তাঁকে দেখা যায় খোশ মেজাজে। নানা মজার মজার পোস্ট করে সবাইকে হাসানোর কাজও করে থাকেন আনায়াসে। শুধু তাই নয়, নিজের ফলোয়ার্সদের সঙ্গে বেশ আড্ডা দিতেও দেখা যায় তাঁকে। আর এরকমই এক পোস্টে এক অনুরাগীর হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নিয়ে করা মন্তব্যে মেজাজ হারালেন সম্প্রতি।
চলতি সপ্তাহেই ফেসবুকে ‘একখান ইটিশ পিটিশ প্রেম করতে মন চায়’ বলে পোস্ট করেছিলেন তিনি। ব্যস! সেখানে শুরু হয়ে যায় নানা মজা। কেউ কেউ বলেন তাঁরা বিশ্বাসই করেন না নূরের প্রেমিকা নেই! তো কারও মতে নূরের জন্য প্রেমিকা খোঁজার দায়িত্ব তাঁরা নিতে চান নিজের কাঁধে। তাঁর এই পোস্টে অভিনেতার কলেজের বন্ধু, সহকর্মী, পরিচিতদেরও নানা ঠাট্টা করতে দেখা যায়।
তবে তাল কাটে এক নেট-নাগরিকের মন্তব্যে। যিনি লিখে বসেন, ‘আপনি মুসলিম না হয়ে হিন্দু হলে আমি রাজি ছিলাম এই প্রেমের জন্য।’ সঙ্গে বেশ কতগুলো লজ্জা পাওয়ার ও হাসির স্মাইলি দিলেও একটুও মজা পাননি নূর এহেন মন্তব্যে। স্পষ্ট ভাষায় কমেন্টের জবাবে লেখেন, ‘প্রেম তো অনেক দূরের কথা!!! এমন মানসিকতার লোক আমার প্রোফাইলেও রাখতে চাই না।’ প্রায় ৩২২ জন লাইক, লাভ রিয়্যাক্ট করে সহমত পোষণ করেছেন।
নেটনাগরিকরাও সমর্থন করেছেন অভিনেতাকে। একজনের বক্তব্য, প্রেম কখনো জাত বা ধর্ম দেখে হয় না। প্রেম এক পবিত্র সম্পর্ক যা মনের সঙ্গে মনের। আবার অনেকে জাত ধর্ম না দেখে মানব ধর্মের উপর জোর দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন ওই মহিলাকে। তারপর অবশ্য আর কোনও উত্তর করতে দেখা যায়নি ওই নেট-নাগরিককে। প্রসঙ্গত, রানি মা অর্থাৎ বয়সে ছোট দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী-র চরিত্রে অভিনয় করেও একসময় সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। সেসময়তেও কেউ কেউ তাঁকে নিয়ে করেছিল ট্রোলিং।