এই প্রথম কোনও পূর্নদৈর্ঘ্যের ভারতীয় ছবির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন একজন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিশেষজ্ঞ পরিচালক (ইন্টিমেসি ডিরেক্টর)। ছবির নাম গেহরাইয়া। শকুন বাত্রা পরিচালিত এই ছবিতে ইউক্রেনিয়ান বংশোদ্ভূত পরিচালক ডর গাই ছিলেন এই দায়িত্বে। সম্প্রতি, হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ছবিতে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ডর।
ডর জানান এককথায় এই ছবিতে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। এক সপ্তাহ থাকার কথা থাকলেও এতটাই সুন্দর পরিবেশ ও আতিথেয়তা পেয়েছিলেন তিনি যে দেড় মাস থাকতে হয়েছিল তাঁকে। দীপিকা এবং সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছবির শ্যুটিংয়ের আগে তিনি একপ্রস্থ ওয়ার্কশপ করে নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, 'বেশ মজা হয়েছিল তা করে, কারণ দু'জনেরই নতুন কিছু করার খিদে ছিল যেমন তেমনই দু'জনের মধ্যেই ভরা পুরোমাত্রায় শিশুসুলভ সারল্য।'
এরপর সেটেও অহরহ মজা হতো। তাঁর কথায়, 'যখনই সেটে পা রাখতাম হাঁফ ছেড়ে চেঁচিয়ে উঠতো ছবি পরিচালক শকুন। মজা করে বলত, 'এইবার ওঁদের চুমু খেতে বলো। কারণ আমি ওসব বলতে চাই না।' আবার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তরফেও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শ্যুটের আগে চেঁচিয়ে ডাক পড়ত আমার। কারণ সেইসব অন্তরঙ্গ, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের আগে বেশ কিছু মজার ব্যায়াম করতাম আমি। সবমিলিয়ে এসব খুনসুটি তো চলতই।একজন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিশেষজ্ঞ পরিচালক-এর কাজ সমন্ধে বলতে গিয়ে ডর জানান যেভাবে কোনও নাচের কিংবা অ্যাকশন দৃশ্যের পরিকল্পনা ওই বিভাগের বিশেষজ্ঞরা করেন, এককিভাবে তাঁর কাজটিও ঠিক তেমনই। পাশাপাশি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শ্যুটিংয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না সেসব দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হয় তাঁকে। তাঁর দাবি, 'আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে মানেই তো শারীরিকভাবে অন্তরঙ্গ হওয়া নয়। কোনও প্যাশনেট আবেগঘন দৃশ্যও এই বিভাগের আওতায় পড়ে। মদের কাজ দুই শিল্পীর মধ্যে ওই দৃশ্যে রসায়ন তৈরি করা। এবার সেই রসায়ান কীভাবে দর্শক গ্রহণ করবেন, তা তাঁদের ব্যাপার।'
দীপিকা থেকে সিদ্ধান্ত, সবাই যে তাঁকে ভীষণ বিশ্বাস করেছেন এবং তাঁর সব কথা মেনে চলেছেন তাও অকপটে কবুল করেছেন ডর। জানিয়েছেন ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তরফে একমুহূর্তের জন্যও কোনও প্রশ্ন কিংবা দ্বিধা আসেনি। বরং মজা করে হইচই করে একজোট হয়ে কাজ করেছেন সবাই মিলে।