ভিন দেশে কাজে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের ৩৬ জন শ্রমিক,যেখানে ছিলেন দুইজন অন্তঃসত্ত্বা শ্রমিকও। ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের উদ্যোগে নিরাপদে ঘরে ফিরলেন সকলে। এই শ্রমিকদের মধ্যে চারজন মহিলা সহ ৩০ জন ঘাটালের বাসিন্দা। বাকিদের দুইজন হুগলির আরামবাগের এবং বাকি চারজন বাঁকুড়ার বাসিন্দা।
এই পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রত্যেকেই স্বর্ণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভারত-নেপাল সীমান্তে আটকে পড়েছিলে তারা। এরপরই ঘাটালের সাংসদের দারস্থ হন তাঁরা। জানা গিয়েছে খবর কানে পৌঁছানো মাত্র দার্লিজিংয়ের জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেব। তবে তিনি জানান সীমান্ত পার করতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি লাগবে।এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে,কেন্দ্রীয় স্বরা্ষ্ট্র দফরতের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেন ঘাটালের সাংসদ। এরপর মঙ্গলবারই ঘাটাল থেকে একটি বাস রওনা দেয় ভারত-নেপাল সীমান্তের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩৬ জন শ্রমিককে নিয়ে দেশে ফেরে ওই বাস। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নেপাল ফেরত প্রত্যেক শ্রমিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
দেব ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, ‘ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে এবং সমস্ত সরকারি আধিকারিক-কে যারা আমায় সাহায্য করেছেন ঘাটালে বসবাসকারী নেপালে কর্মরত স্বর্ণকারদের ঘাটালে ফিরিয়ে আনতে। তাদের ফিরিয়ে আনা সত্যি খুব কঠিন ছিল বর্তমান পরিস্থিতিতে, কিন্তু আমরা পেরেছি তাদের সাহায্য করতে এবং সুরক্ষিত ভাবে তাদের পরিবারের সাথে ফিরিয়ে আনতে’।
জানা গিয়েছে নেপালে বাংলার আরও শ্রমিক আটকে রয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরেও আটকে রয়েছেন বাঙালি শ্রমিকরা। সকলকেই রাজ্যে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে আশ্বাস দিয়েছেন দেব।