গো এয়ার-এর বিমান সেবিকাদের নামে অভিযোগ এনে টুইট করেছিলেন চিত্রাঙ্গদা সিং। এবার সেই টুইটের জবাব দিতে দেখা গেল সংস্থাকে। মুম্বই থেকে দিল্লিগামী F391 ফ্লাইটের এয়ারহোস্টেস তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আপাতত এই নিয়ে তদন্তে শুরু হয়েছে সংস্থার অভ্যন্তরে।
‘গো এয়ার’, যা বর্তমানে ‘গো ফার্স্ট’ নামে পরিচিত, সংস্থার স্পোকপার্সন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এটি বর্তমানে তদন্ত সাপেক্ষ। সমস্ত দিক পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা এসব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স পলিসি (কোনওভাবেই ক্ষমাযগ্য নয়) মেনে চলি।’ অর্থাৎ যদি বিমানসেবিকা দোষি প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁকে যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে।
টুইটারে চিত্রাঙ্গদার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ফোনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সঙ্গে ‘গো ফার্স্ট’-র স্পোকপার্সন-র কাছে প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত চলাকালীন কি ওড়ার অনুমতি রয়েছে ওই এয়ারহোস্টেসদের? যাতে তাঁর উত্তর, ‘আমি একইকথার পুনরাবৃত্তি করছি, তদন্ত চলছে।’
সোজাসুজি দুটি পোস্ট করতে দেখা যায় চিত্রাঙ্গদাকে। যাতে তিনি লেখেন এই বিমানের এয়ারহোস্টেসরা অহংকারী, রূঢ় এবং তাঁর দেখা সবচেয়ে খারাপ! প্রথম পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ফ্লাইট ৩৯১ গো এয়ার মুম্বই থেকে দিল্লি, রূঢ় এয়ারহোস্টেস। রিকু সিং, জেমি, ক্রিস্টোফার, মীনল ওরা প্রত্যেকে। দয়া করে কেউ ওদের সহবত শেখান। আমার দেখা সবচেয়ে অহংকারী। ওদের দেখে খুব হতাশ হয়েছি। আমার সবচেয়ে খারাপ বিমান চড়ার অভিজ্ঞতা হল।’ নিজের পোস্টে এয়ার ইন্ডিয়াকে ট্যাগ করেন তিনি।
পরের পোস্টে চিত্রাঙ্গদা লেখেন, ‘এটা আমার সাথে হয়নি, বরং আমার পাশে বসা মানুষটার সাথে হয়েছে। যাঁর সাথে এয়ারহোস্টেসরা খুব জঘন্য ব্যবহার করেছে। যেখানে উল্টোদিকের মানুষটা নরম-ভদ্রভাবে কথা বলে গিয়েছে সবসময়। বিমানের ক্রুদের এরকম ব্যবহার সত্যি মেনে নেওয়া যায় না।’