অরিন্দম-নোলকের সম্পর্কের টানাপড়েন যেন শেষ হতে চায় না। তবে মান-অভিমানের পালা শেষে ফের ছাদনাতলায় দু'জন। অন্তত তেমনই বলছে রাজ চক্রবর্তী প্রযোজিত এই ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো।
অভিমানে রায় বাড়ি ছেড়েছিল নোলক। রাস্তায় নেমেই ঘোর বিপদ! গুন্ডাদের কবলে সে পড়ে সে! এক্কেবারে নাটকীয় ভঙ্গিতে সেখানে উপস্থিত অরিন্দম। একা সকলের সঙ্গে লড়ে বিপদ থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে সে। বাড়ি ফিরেই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন তারা। তবে সে সব কাটিয়েই আরও একবার সাতপাক ঘুরবে উকিলবাবু আর নোলক বহুরূপী।
লাল বেনারসি, গা ভর্তি গয়নায় নতুন কনে নোলক। ঘিয়ে রঙা পাঞ্জাবিতে তাক লাগাচ্ছে অরিন্দম। অবশেষে দু'টি মন হওয়ার পালা। সেজে উঠল বিয়ের মণ্ডপ। প্রিয়জনদের উপস্থিতি হতে চলল নতুন অধ্যায়। তাদের পাশাপাশি সাতপাক ঘুরবে আদি-রোহিনীও। কিন্তু শুভ ক্ষণেও বিঘ্ন! সৌজন্যে রোহিনী। নোলকের জন্ম শংসাপত্র এনে দাবি করে, সে নাবালিকা। প্রশ্ন তোলে, 'অ্যাডভোকেট অরিন্দম রায় একজন নাবালিকাকে বিয়ে করছে?' হতবাক রায় পরিবারের বড় ছেলে।
নোলক প্রতিবাদ করে। বলে ওঠে, 'আমরা বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে।' কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ততক্ষণে বিয়ের আসরে পুলিশ। নাবালিকাকে বিয়ের অপরাধে গ্রেফতার আইনজীবী অরিন্দম রায়। তখনও সে আত্মবিশ্বাসী। স্ত্রীর উদ্দেশে বলে, 'তোমার কথা যদি সত্যি হয় নোলক, আদালতে আমি সেটা প্রমাণ করব।'
তবে কি নতুন করে শুরু হওয়ার আগেই ফের ভেঙে যাবে নোলক-অরিন্দমের সংসার? আরও একবার হেরে যাবে অসমবয়সী প্রেম? জানতে মুখিয়ে 'গোধুলি আলাপ'-এর অনুরাগীরা।