একসময় টিআরপি-তে সেরা তিনে থাকত গৌরী এলো ধআরাবাহিক। তবে হঠাৎই সব হিসেব নিকেশ বদলে দেয় জি বাংলা। নিজের চ্যানেলের টপার সিরিয়ালটিকেই পাঠিয়ে দেয় নতুন সময়ে। সেই থেকেই স্লট হারা গৌরী। এই নিয়ে হয়তো ১ মাসের মতো প্রতিপক্ষে থাকা রামপ্রসাদের কাছে গো হারা হারছে।
গত সপ্তাহের টিআরপি চার্টে গৌরীর নম্বর ছিল ৩.৪। অন্য দিকে রামপ্রসাদ পায় ৩.৮। অর্থাৎ .৪ নম্বরের ব্যবধান। তা হঠাৎ কেন দর্শকরা মুখ ফেরালেন একসময়েপর হিট চ্যানেল থেকে। পরিচালকমশাই কি চ্যানেলকেই দোষ দিচ্ছেন?
প্রসঙ্গত, পয়লা জুন বৃহস্পতিবার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ আর ‘জগদ্ধাত্রী’র একচেটিয়া আধিপত্যে ভাগ বসিয়ে বেঙ্গল টপার হয়েছিল গৌরী এলো। আর সেদিনই চ্যানেল গৌরী-র স্লট বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যার কারণ অবশ্য ফুলকি। জি বাংলা প্রোডাকশনের এই মেগা-কে প্রাইম টাইম এনে দিতে সরে যেতে হয় গৌরীকে। আরও পড়ুন: মীনা কুমারীর বায়োপিক দিয়ে পরিচালনায় মণীশ মলহোত্রা! ছবি শুরুর আগেই আইনি জট
সেই থেকেই ঘুরে গিয়েছে ঈশান আর গৌরীর ভাগ্যের চাকা। কিন্তু সেটা উল্টো দিকে। টিআরপি-র সেরা দশ থেকে ছিটকে তো গেছেই, সঙ্গে টিআরপিও তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গৌরী এলো-র পরিচালক দীপঙ্কর দে-এঁর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘কোন ধারাবাহিক কখন প্রচার হবে সেটা দেখে চ্যানেল আর প্রযোজক। আমি নান্দনিক দিনটা দেখি। তাই কোন ধারাবাহিক দিক বদলাল, তা তারাই বতলে পারবেন। আমি চেষ্টা করছি স্লট ফিরে পেতে। আগের চেয়ে নম্বরও খানিকটা বেড়েছে। ধীরে ধীরে হলও যে হচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।’
আগে গৌরী ছিল সন্ধে সাড়ে ৭টার স্লটে। বর্তমানে তা চলছে ৬টার সময়। সাড়ে সাতটায় আসা ফুলকি যদিও প্রথম দুই সপ্তাহ টিআরপি তালিকায় থাকে একে। উল্টোদিকে থাকা সন্ধ্যাতারাকে খাতা খোলার সময় না দিয়েই জিতে যাচ্ছে স্লট। সঙ্গে টিআরপি-তেও থাকছে দুই কিংবা তিনে।
২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল গৌরীর পথ চলা। সম্প্রতি তা পূরণ করল ৫০০ এপিসোড। হইচই করে সেটে সেই আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নিসেন সব কলাকুশলীরাই। কেক কেটে, কেক খেয়ে, সেই কেকে গালে মেখেই মাতেন আনন্দে। এখন দেখার পুরনে ছন্দে ফিরতে পারেন কি না আদৌ ঈশান আর গৌরী কোনওদিনও। নাকি খুব জলদি বন্ধের পথে ঠেলে দেয় কমে আসা টিআরপি।