না ফেরার দেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নীল রতন সরকার হাসপাতালে দান করা হল তাঁর দেহ। কিন্তু তিনি রেখে গেলেন তাঁর বহু কাজ, স্মৃতি। এদিন সেই প্রসঙ্গে কী জানালেন গৌতন ঘোষ?
আরও পড়ুন: কেবল ভাত - মাংস বা সিগারেট নয়, এই পদ পাতে পেলেই সবথেকে খুশি হতেন বুদ্ধদেব! কী বলুন তো?
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী জানালেন গৌতম ঘোষ?
এদিন সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক গৌতম ঘোষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণ প্রসঙ্গে জানান, 'আমরা একজন অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিকে হারালাম। শিল্প আর সিনেমা জগতে ওঁর অবদান অনস্বীকার্য। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর অনেক অবদান এবং বিরাট ভূমিকা ছিল নন্দন তৈরি করার পিছনে। মৃণাল সেন বা সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে আমরা সকলেই এমন একটা ফিল্ম সেন্টার চেয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরেও ধনঞ্জয়ের ফাঁসির জন্য বুদ্ধদেবকেই দুষলেন কবীর সুমন! লিখলেন, 'খুব মনে পড়ছে আপনাকে...'
গৌতম ঘোষ এদিন আরও জানান, 'আমাদের প্রথম কালার ল্যাবরেটরি রূপায়ণ এবং রূপকলা কেন্দ্রের স্থাপনা করেছিলেন তিনিই। এমনকি নামটাও তাঁরই দেওয়া। এমনকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যই বইমেলাগুলোকে জেলাস্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কলকাতার বইমেলাতেও ওঁর অবদান অনেক।'
গৌতম ঘোষ স্মৃতি হাতড়ে জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই এপার বাংলা ওপার বাংলার যৌথ উদ্যোগে সিনেমা বানানো গিয়েছিল প্রথমবার। পরিচালক এদিন বুদ্ধদেবের লেখারও প্রশংসা করেন। জানান 'ওঁর নিজের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল সেটা ওঁর লেখালিখির মধ্যে থেকেই বোঝা যেত।'
৮ অগস্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। এদিন বাড়াবাড়ি হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দেননি তিনি। সকালে ৮ টা ২০ তে প্রয়াত হন। এদিন তাঁর মরদেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হয়। ৯ অগস্ট পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয় তাঁকে। শুক্রবার বিকেলে নীল রতন সরকার হাসপাতালে দান করা হয় তাঁর দেহ।