সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের ঝড় বয়ে গিয়েছে গৌতম হালদারের সমালোচনা করে। তিনি সারেগামাপায় বেণীমাধব পাঠ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই পাঠের ধরন মোটেই ভালো লাগেনি নেটপাড়ার। তাঁদের দাবি তিনি নাকি বিকৃতভাবে পাঠ করেছেন। এবার সেই কটাক্ষের জবাবে মুখ খুললেন শিল্পী স্বয়ং। কী জানালেন গৌতম হালদার?
আরও পড়ুন: ৭৮ এই থামল কণ্ঠ, না ফেরার দেশে দূরদর্শন - আকাশবাণীর সংবাদ পাঠিকা ছন্দা সেন
কী জানালেন গৌতম হালদার?
গত রবিবার থেকে টানা কটাক্ষের শিকার হওয়ার পর এদিন অবশেষে মুখ খুললেন গৌতম হালদার। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন, 'আমি একজন শিল্পী। আর শিল্পী হিসেবে আমি যেমন প্রশংসা গ্রহণ করব, তেমনই সমালোচনাও গ্রহণ করব। আমি এর আগেও নানা জায়গায় দেশে বিদেশে বেণীমাধব পারফর্ম করেছি। এই আবৃত্তিতে নাটকের অনেকটা জায়গা রয়েছে। যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরা হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন না। আমি গুরুত্ব দিতে চাই না তাঁদের যাঁদের শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধা নেই।'
কী ঘটেছে?
সারেগামাপাতে গৌতম হালদার একটি বিশেষ পারফরমেন্স করেন। সেখানেই তিনি বেণীমাধব গানটি গান। কিন্তু তাঁর অঙ্গভঙ্গি এবং গাওয়ার ধরন মোটেই ভালো লাগেনি নেটপাড়ার। বিরক্তি উগরে দিয়েছেন তাঁরা কমেন্ট বক্সেই। কেউ আবার আলাদা পোস্টও করেছেন। এক ব্যক্তি এই পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, 'কতদিন ভেবেছি মিট্টি এক প্রেয়সী ছেড়ে বেণীমাধব ফুলপঞ্জিকা লিখলেন কেন? কাল বুঝলাম, ভাঁড়ামোরও একটা লিমিট থাকা উচিত। বন্ধ করুন বেণীমাধব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট।' আরেকজন লেখেন, 'বেণীমাধবের পিন্ডি চটকে দিয়েছে! এক্সপেরিমেন্ট এর নামে এইসব ছ্যাবলামি বন্ধ হোক।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘হিথ লেজার বেঁচে থাকলে বেটার বেণীমাধব করত।’ চতুর্থ জন লেখেন, 'বেণীমাধব আর নেই! শেষ উনি, ভালো না বললেই সব তেড়ে আসবে তাই খুবই ভালো হয়েছে।' পঞ্চম ব্যক্তি লেখেন, 'একজন স্কুলে পড়া মেয়ে এভাবে কদাকার অভিব্যক্তি করে নিজেকে প্রকাশ করে কিনা জানি না...।'
আরও পড়ুন: একটা সময় ৩ শিফটে ৩ টে ছবির জন্য কাজ করতেন অমিতাভ! KBC-তে বললেন, 'টানা ২৩ ঘণ্টা কাজ করতাম...'