সিনেমাটোগ্রাফ আইনে (১৯৫২) বদল আনার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী বিলও ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এবার এই বিষয়ে জনসাধারণের কী মতামত তা জানতে চাইল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিল পাশ হলে ফিল্ম সার্টিফিকেশন নিয়ে আরও কড়াকড়ি হবে। এবং U ও UA, A-র পাশাপাশি আরও কতগুলো সাব ক্যাটাগরি আসবে দর্শকদের জন্য।
কেন্দ্র ২ জুলাইয়ের আগে এই সংশোধনকারী বিলের ব্যাপারে মতামত চেয়েছে সকলের কাছে। ডিজিট্যাল মিডিয়ায় মুক্তি পাওয়া সিনেমা বা ওয়েব সিরিজেও এবার এই নিয়ম চালু হবে। সঙ্গে UA সার্টিফিকেটকে আরও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে-- U/A ৭+ , U/A ১৩+, এবং U/A ১৬+। সঙ্গে থাকছে ‘A’ রেটিং। বর্তমানে U ক্যাটাগরির ছবির জন্য কোনও বয়সের বাধানিযেধ নেই। কিন্তু UA- র ক্ষেত্রে ১২ বছরের উর্দ্ধরা বাবা-মা বা অভিভাবকের সঙ্গে দেখতে পারবেন সেই ছবি।
যদি এই নতুন বিল পাশ হয়, তবে ভারত সরকার দেশের ‘সর্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা’র কথা মাথায় রেখে, কোনও বিশেষ রাজ্যের ‘সম্মান ও নিরাপত্তা’র খাতিরে ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য, শালীনতা বজায় রাখার জন্য, মানহানি আটকানোর জন্য যে কোনও ছবির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। সঙ্গে এই নতুন আইনে ফিল্ম পাইরেসি আটকানোর ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সফটওয়্যার ফ্রিডম ল সেন্টারের প্রশান্ত সুগাথন এ ব্যাপারে জানান, ‘এটি কেন্দ্রীয় সরকারকে বোর্ড বা ট্রাইবুনালের ওপরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেবে। পাশাপাশি কোনও রাজ্য বা বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ যদি বিরোধ জানান, ছবির মুক্তি আটকে যেতে পারে। এটি বাকস্বাধীনতার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে বলেই আমার মত।’
চলচ্চিত্র সমালোচক গৌতম চিন্তামনি জানান, ‘নতুন সিনেমাটোগ্রাফি আইনের সবথেকে বড় দিক হতে চলেছে বয়স-ভিত্তিক সার্টিফিকেট। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পরিবর্তন, যা বহুদিন ধরেই, শ্যাম বেনেগাল কমিটির সময় থেকে প্রস্তাবিত হয়ে আসছে। আমার ব্যক্তিগত মতে নতুন আইনের ফলে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড (CBFC)-র কাছে একটা পরিষ্কার চিত্র থাকবে কোন সিনেমা কোন বয়সের ক্যাটাগরিতে পড়বে, কোনগুলো মানহানি করে, কোন সিনেমা দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। তাই তাদেরও সার্টিফিকেট দিতে সুবিধে হবে।’