মঙ্গলবার ২১শে নভেম্বর ৫৮ -য় পা রাখলেন গোবিন্দা। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নাম ছিল গোবিন্দা। একর পর এক সুপারহিট ছবি বক্স অফিসে উপহার দিয়েছেন এই বলি-অভিনেতা। তবে তারকা হয়ে ওঠার আগে একটা সময় তীব্র অভাবের সঙ্গে লড়াইও করেছেন তিনি। গোবিন্দার জন্মের আগেই অভাবের মুখোমুখি হয়েছিল পরিবার যখন তাঁর বাবা অরুণ আহুজা প্রযোজিত একটি ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে।
১৯৯৭ সালে ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দা জানিয়েছিলেন একটা সময় তাঁদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে মুদিখানা থেকেও একেকটা সময় চাল-ডাল, মশলাপাতি আনার সংস্থানও ছিল না তাঁদের। তারকার কথায়, 'এমনও দিন গেছে যখন মুদি আমাকে দোকানের পাশে বহুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কারণ সে জানত আমার কাছে টাকা নেই, সুতরাং ধারেই তাঁর মালপত্র কিনতে হবে আমাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতাম। এরকম ব্যবহার পেতে পেতে লজ্জায়, অপমানে একবার মুদির দোকানে যেতে আর রাজি হলাম না। খানিকক্ষণ পরেই লক্ষ্য করলাম নিরুপায় হয়ে আমার মা চোখে জল ফেলছে। নিজেদের অবস্থা দেখে এরপর চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি আমিও'।
এরপর ১৯৮৬ সালে 'লাভ ৮৬' ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রাখেন গোবিন্দা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বব্বইয়ের দশকের অন্যতম বড় বলি-তারকার তকমা বসে যায় তাঁর নামের পাশে। ধীরে ধীরে রাজাবাবু, হিরো নম্বর ওয়ান, কুলি নম্বর ওয়ান, বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা-র মতো একের পর দারুণ সব সুপারহিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে গেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গোবিন্দাকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গেছে 'রঙ্গিলা রাজা' ছবির সুবাদে। গত কয়েক মাসে নিজের মিইউজিক ভিডিয়ো নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে একে একে তা প্রকাশও করেছেন তিনি।