গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা আহুজা স্পষ্টবাদী। তিনি খোলামেলা ভাবে কথা বলার জন্য পরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা বলেছেন তিনি। সুনীতা জানিয়েছেন, গোবিন্দা ও তিনি নাকি একে অপরকে গালিগালাজও করেন!
হাউটারফ্লাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা সম্প্রতি তাঁর মেয়ে টিনা আহুজাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর যে মজাদার সম্পর্ক সেই নিয়ে নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন।
গোবিন্দার সঙ্গে সুনীতার সম্পর্কে সমীকরণটা ঠিক কী রকম? তিনি জানান যে, তাঁদের সম্পর্ক সাধারণ স্বামী স্ত্রীর মতো নয়। তাঁর কথায়, ‘আজও মনে হয় না যে আমরা স্বামী এবং স্ত্রী।’ সুনীতা জানান, তিনি নাকি বিনা দ্বিধায় অকপটে গোবিন্দাকে 'অ্যাবেই' বলে সম্বোধন করেন। আর গোবিন্দাও নাকি একই প্রতিক্রিয়া জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গালিয়া গালোচ চলতা হ্যায় হামারি (আমরা একে অপরকে গালিগালাজ করেই থাকি)।
আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে রাস্তার মাঝেই ভাল্লুক জড়িয়ে ধরল রণজয়কে! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যারিশ্মায় নয়া অবতারে নায়ক
তাঁদের সম্পর্ক এতটাই কৌতুকপূর্ণ যে প্রায়ই নাকি সুনীতা মজা করে গোবিন্দাকে জিজ্ঞাসা করেন, সত্যিই তিনি তাঁর স্বামী কিনা। সুনীতা মজা করে জানতে চান, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে তুমি আমার বর!’
অঙ্কিত পডকাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, সুনীতা তাঁর স্বামীর পরিবারের পছন্দগুলির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়েও নানা কথা শেয়ার করেছিলেন। তিনি মিনিসস্কারট ছেড়ে কীভাবে শাড়ি পরা শুরু করেন সেই সব কথা ভাগ করে নেন। তিনি জানান, গোবিন্দা মনে করতেন যে তাঁর মা শাড়িতে সুনীতাকে দেখলে বেশী খুশি হবেন। তাই বরের কথায় শাশুড়িকে খুশি করতেই শাড়ি পরা শুরু করেন তিনি।
সুনীতার কথায়, ‘গোবিন্দা আমাকে বলত যে, আমার মা এই স্কারট পরা পছন্দ করবেন না, শাড়ি পরবে তুমি। আর আমিও ওঁর কথা শুনে, শাড়ি পরা শুরু করি। আসলে আমি যে কোনও ভাবে আমার শাশুড়ি মাকে মুগ্ধ করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: হিংসা-রক্ত দেখে দর্শকরা হলেই বমি করছে! এই ছবি 'পুষ্পা ২'কেও টেক্কা দিচ্ছে বক্স অফিসে
প্রসঙ্গত, ২১ ডিসেম্বর, ৬১ তে পা দিয়েছেন গোবিন্দা। সেদিন তাঁর জন্মদিনের উপলক্ষ্যে তাঁর বাড়ির বাইরে জড়ো হওয়া ভক্তদের মিষ্টি বিতরণ করতে এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল গোবিন্দাকে।
অন্যদিকে, অক্টোবরে, দুর্ঘটনাক্রমে গোবিন্দার পায়ে গুলি লেগে যাওয়ায় তাঁকে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি খুব ভোরে ঘটেছিল। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর, গোবিন্দ এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি কলকাতায় একটি শোয়ের জন্য রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিলাম। ভোরে হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটে যায়। আমি একটা ঝাটকা অনুভব করি। তারপর লক্ষ্য করি আমার পা দিয়ে ফোয়ারার মতো রক্ত বের হচ্ছে।’