গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা আহুজা বরাবরই স্পষ্টবক্তা। ক্যামেরার সামনে রাখঢাক রাখতে পছন্দ করেন না তিনি। সম্প্রতি 'টাইমআউট উইথ অঙ্কিত পডকাস্ট'-এ তিনি শেয়ার করেছেন তাঁর ছোটবেলার একটি মজার ঘটনা। তারকা-পত্নী জানান শুধুমাত্র মদ খেতে বাবা-মাকে না জানিয়ে গোপনে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে সুনীতা বলেন, 'আমার জন্ম বান্দ্রায়। আমি ব্যাপটিস্ট হয়েছি। আমি একটি খ্রিস্টান স্কুলে পড়তাম, এবং আমার সব বন্ধুরা খ্রিস্টান ছিল। ছোটবেলায় আমি শুনেছি যিশুর রক্ত হচ্ছে দ্রাক্ষারস। আর মনে মনে বললাম, 'ওয়াইন মানেই মদ'। আমি বরাবরই খুব ধূর্ত ছিলাম। পানীয় পান করার কোনও ক্ষতি নেই, তাই না? শুধু একটু ওয়াইন খাওয়ার জন্য আমি নিজে ধর্ম বদলে ফেললাম। আমি খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করি, আমি প্রতি শনিবার গির্জায় যাই।' যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তার বাবা-মা তার সিদ্ধান্তে বিরক্ত কিনা, তিনি বলেছিলেন যে তারা কখনই এ সম্পর্কে জানতে পারেননি।
গোবিন্দা ও সুনীতার ব্যক্তিগত জীবন ও সংসার
১৯৮৭ সালের ১১ মার্চ অভিনেতা গোবিন্দার সঙ্গে সুনীতার বিয়ে হয়। তখনও সুপারস্টার হয়ে উঠেননি গোবিন্দা। স্ট্রাগলার ছিলেন। সুনীতা গোবিন্দার কাকা আনন্দ সিংয়ের শ্যালিকা অর্থাৎ নায়কের কাকিমার বোন। পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সহকারী ছিলেন আনন্দ। গোবিন্দা ও সুনীতার দুই সন্তান নর্মদা ওরফে টিনা আহুজা এবং ছেলে যশবর্ধন বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন। টিনার হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় সেকেন্ড হ্যান্ড হাজব্যান্ড (২০১৫)-এর মাধ্যমে। এই দম্পতির বড় মেয়ে যার অকাল জন্ম হয়েছিল তখন তার বয়স চার মাস বয়সে মারা যায়।
মুম্বাই বিনোদন জগতে গোবিন্দার ছয় ভাগ্নে এবং দুই ভাগ্নি রয়েছে, যথা - বিনয় আনন্দ, কৃষ্ণ অভিষেক, আরিয়ান, অর্জুন সিং, রাগিনী খান্না, অমিত খান্না, আরতি সিং এবং জন্মেন্দ্র কুমার আহুজা।
গোবিন্দার অভিনয় জীবন
লাভ ৮৬ (১৯৮৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি রাজা বাবু (১৯৯৪), কুলি নং ১ (১৯৯৫), হিরো নম্বর ১ (১৯৯৭), আন্টি নং ১ (১৯৯৮), হাসিনা মান জায়েগি (১৯৯৯), হাধ কর দি আপনে (২০০০), পার্টনার (২০০৭), হলিডে (২০১৪), কিল দিল (২০১৪) এবং অন্যান্য চলচ্চিত্রের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল পহলাজ নিহালনির 'রঙ্গিলা রাজা' (২০১৯) ছবিতে।