এবার মহামরী করোনার জেরে প্রাণ হারালেন গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী গায়ক,গীতিকার অ্যাডাম শেলসিঙ্গার। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। রকব্যান্ড ফাউন্টেন অফ ওয়েনের সদস্য ছিলেন শেলসিঙ্গার। তাঁর মত্যুর খবর টুইটারে নিশ্চিত করেছেন সদ্য করোনাভাইরাসের কোপ থেকে সেরে উঠা অস্কারজয়ী অভিনেতা টম হাঙ্কস। টম হাঙ্কস টুইটারের দেওয়ালে লেখেন, ‘অ্যাডাম শেলসিঙ্গারকে ছাড়া ‘প্লেটোন’ (হাঙ্কস প্রতিষ্ঠিত রেকর্ড লেবেল)-এর কোনও অর্থ নেই, তাঁর দ্যাট থিংস ইউ ডু-কে ছাড়া! তিনি অদ্বিতীয়। Covid-19-এর জন্য তাঁকে হারালাম। আজ অসম্ভব দুঃখিত'।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ড ফাউন্টেন অফ ওয়েনের বাস প্লেয়ার এবং গীতিকার ছিলেন অ্যাডম শেলসিঙ্গার। ‘স্ট্যাকি’স মম’, ‘হে জুলি’-র মতো জনপ্রিয় গান গোটা বিশ্বের রকসঙ্গীত প্রেমীদের উপহার দিয়েছেন তিনি। গ্লোন্ডেন গ্লোব, এমি, গ্র্যামি-সঙ্গীতদের দুনিয়ার প্রথমসারির সব পুরস্কারের আসরেই একাধিকবার মনোনীত হয়েছেন অ্যাডাম শেলসিঙ্গার। ২০০৯ সালে ‘এ কোলবার্ট ক্রিসমাস: দ্য গ্রেটেস্ট গিফট অফ অল’ গানের জন্য সঙ্গীত জগতের অস্কার গ্র্যামি পুরস্কার জেতেন শেলসিঙ্গার। তিনবার এমি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। টম হাঙ্কসের ছবি দ্যাট থিংস ইউ ডু-এর জন্য অস্কার এবং গ্লোডেন গ্লোব পুরস্কারেরও মনোনয়ন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেলসিঙ্গার। এই গানটির গীতিকার তিনি।
মার্কিন রকব্যান্ড ড্যাশবোর্ড কনফেশ্যানালের সদস্য ক্রিস কারব্বা অ্যাডাম শেলসিঙ্গারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইটারের দেওয়ালে লেখেন, আমি তাঁকে চিনি আমার পথপ্রদর্শক এবং বন্ধু হিসাবে। আমাদের এটাকে(করোনাভাইরাস) আরও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। মানুষ অসুস্থ এবং মারা যাচ্ছে। ঘরবন্দি থাকাটা সহজ নয়, তবে এটাই জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায়। একে অন্যের খেয়াল রাখুন। আমার বন্ধুর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি’।