বলিউডের নামি ফিল্মি পরিবারের মেয়ে তিনি। মা-বাবা দুজনেই একসময় কাঁপিয়েছেন বলিউড। দুই বোন তাঁরা। তবে দুজনের কেউই বক্স অফিসে পায়নি কাঙ্খিত সাফল্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোলমালের মতো সিনেমা, বিড়ি জালাইলে-র মতো আইটেম ডান্সে ছাড়ার কথা স্বীকার করেন।
কদিন আগে ভেঙেছে এই অভিনেত্রীর সংসার। বিয়ের ১২ বছর পর, ব্যবসায়ী স্বামীর ঘর ছেড়ে, মায়ের কাছে এসে উঠেছেন। সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে। পারলেন কি বুঝতে কার কথা হচ্ছে?
ছবির এই ছোট্ট মেয়েটি হলেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর মেয়ে এষা দেওল। ২০০২ সালে কোয়ি মেরে দিল সে পুছে দিয়ে বলিউডে রাখেন পা। এলওসি: কার্গিল, ধুম, যুবা, কাল, নো এন্ট্রির মতো সিনেমায় করেছেন কাজ। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালের সিনেমা কেকওয়াকে। এবার ৫ বছর পর ফের ফিরছেন। মুক্তির অপেক্ষায় 'তুমকো মেরি কসম'।
সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, এশা জানান, ‘এমন অনেক ভালো সিনেমা ছিল যা আমি করতে পারতাম, তবে আমি জানি না আমি কী ভেবেছিলাম যে আমি সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেছি। পরে বেশ হিট হয়।’
এষাকে এরপর জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কি অহংকারের কারণে সিনেমাগুলি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তাতে ধর্মেন্দ্র-কন্যা জবাব দেন, ‘না না, আমাকে এতটা অহংকারী ভাববেন না। আমি যখন সিনেমায় কাজ করতাম, ভীষণ ভালো-সৎ ছিলাম কাজের প্রতি। একটুও অহংকারী ছিলাম না, যেমনটা লোক মনে করেষ।’
এষা বলেন যে, তাঁর সিদ্ধান্তের পিছনে অনেকগুলি কারণ ছিল। ‘কিছু সিনেমা করা হয়নি তারিখের সমস্যার কারণে। আমার কিছু চরিত্রের গুরুত্ববুঝতে পারিনি। আমার পারিবারিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আমি চাইনি যে কারও খারাপ লাগুক। আমাকে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়েছে।’
এষা এরপরই জানান যে, তিনি ২০০৬ সালের সিনেমা গোলমাল এবং বিড়ি জালাইলে-র মতো কিছু জনপ্রিয় গান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এষা বলেন, যে তিনি মনে করেন বিপাশা দারুণ কাজ করেছেন তাতে।
দুঃখ হয়েছিল কি না জানতে চাইলে এষা বলেন, ‘অবশ্যই। মনে হচ্ছিল দেয়ালে মাথা ঠুকি’।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ডিভোর্সের ঘোষণা করেন এষা দেওল ও হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানি। ১২ বছরের সংসার ভাঙে তাঁদের। দুই মেয়েকে নিয়ে এখন মা হেমা মালনির কাছেই থাকেন অভিনেত্রী।