সত্যিজিৎ রায়ের সৃষ্টি ‘ফেলুদা’র চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের পর যাঁর কথা মনে পড়ে তিনি হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। সোমবার সকালে সেই 'ফেলুদা'রই পুরনো একটা সাদাকালো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁর কোলে একটা শিশু। খুদের পরনে টি-শার্ট ও হাফ প্যান্ট। এখন প্রশ্ন, কে এই শিশুটি দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা?
নিশ্চয় ভাবছেন, চেনা তো সহজ। শিশুটি ওঁর (সব্যসাচীর) ছেলে। হ্যাঁ, ছেলে তো ঠিকই। কিন্তু কোন ছেলে? সেটি কি চিনতে পারছেন! গৌরব নাকি অর্জুন? বলুনতো ইনি কোনজন?
আরও পড়ুন-'আমার তো ঝগড়ার করা গলা…', বলেই নচিকেতার সঙ্গে ডুয়েট গাইলেন কুণাল ঘোষ
আরও পড়ুন-আমিরের সঙ্গে ডিভোর্সের ৩ বছর পার, এই প্রথম 'প্রাক্তন' শাশুড়িমাকে নিয়ে মুখ খুললেন কিরণ রাও

কি চিনতে পারলেন? তাহলে খোলসা করেই বলা যাক। অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর কোলে শিশুটি তাঁর বড় ছেলে গৌরব চক্রবর্তীর। গৌরবই সোমবার সকালে নিজেই ছবিটি পোস্ট করেছেন? ক্যাপশানে লেখেন, ‘তেরো পার্বণ সুপারহিট! বাবা তখন সব্বার প্রিয় গোরা দা। আর আমি তখন ধীরের থেকে একটু বড়। বাবার কোলে, আমাদের গল্ফ গার্ডেন্সের বাড়িতে। মায়ের তোলা ছবি।’
অর্থাৎ ছবিটি তুলেছিলেন সব্যসাচীর স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তী। সেসময় দূরদর্শনের পর্দায় সম্প্রচারিত বাংলা ধারাবািহক 'তেরো পার্বণ' ছিল ভীষণ হিট। পরিচালনা করেছিলেন জোছন দস্তিদার। যাঁকে কিনা বাংলা সিরিয়ালের পথিকৃত বললেও খুব একটা ভুল হয় না। তাঁরই হাতে তৈরি 'তেরো পার্বণ' ধারাবাহিকে অভিনয় করে সকলের প্রিয় 'গোরা দা' হয়ে উঠেছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। সেটা ছিল ১৯৮৬ সাল। গৌরবের পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে এই ছবিটি সেই তখনই তোলা। তখন গৌরবের বয়স বর্তমানে তাঁর ছেলে ধীরের যা বয়স তার থেকে কিছু বেশি।
গৌরবের এই পোস্টের নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। যেখানে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘ফেলুদার কোলে ব্যোমকেশ’। আরও একজন সব্যসাচী অনুরাগী লেখেন, ‘অসাধারণ লাগে আমার সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। পুজো করি বললেও কম বলা হয়, প্রতিদিন অন্তত একবার ওনার ফেলুদা রেডিও মির্চি তে শুনি। আমার মন খারাপ হলেও তাই। আমাদের ফেলুদা ভালো থাকুন।’ কারোর মন্তব্য, ‘প্রিয় ফেলুদা’। কারোর মন্তব্য, ‘ফেলুদা উইথ জুনিয়র’। কারোর কথায়, ‘ছোটবেলার সুন্দর স্মৃতি।’ আবার অনেকেই ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। এমন বহু মন্তব্য এই পোস্টের নিচে উঠে এসেছে।