সত্যজিত রায়ের খেরোর খাতা নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ বরাবরের। চলচ্চিত্র ও সাহিত্য-প্রেমীদের অজানা নয় এই খেরোর খাতার গল্প। পরিচালক সত্যজিৎ ছবির খুঁটিনাটি-- সংলাপ থেকে শুুরু করে নাচ-গানের দৃশ্য, স্পেশ্যাল এফেক্টস লিপিবদ্ধ করতেন এই খেরোর খাতাতে। কেমন দেখতে ছিল সেই খেরোর খাতা জানেন নিশ্চয়ই! লাল খেরোর কাপড় দিয়ে বাঁধানো নোটবই। একেকটি সিনেমার জন্য একেকটি খেরোর খাতা ব্যবহার করতেন। কখনো আবার একটি চলচ্চিত্রের জন্য দু'টি খেরোর খাতাও ব্যবহার করা হত। ভাবুন তো, বাড়ি বসেই সে অমূল্য সম্পদ যদি আপনি হাতের মুঠোয় পেয়ে যান, তাহলে সেটা কেমন হবে!
কিছু উদ্যোগী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তৈরি হয়েছে একটি ওয়েবসাইট exploreray.org। সেখানে গেলে আপাতত আপনি পেয়ে যাবেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’-এর জন্য ব্যবহৃত দু'টি খেরোর খাতা। যে দু'টিকে বইয়ের আকার দিয়ে আপলোড করা হয়েছে। প্রথম খাতায় রয়েছে ছবিটি তৈরির যাবতীয় তথ্য। যদিও নাচের দৃশ্যর অংশটা রয়েছে দ্বিতীয় খাতায়। প্রায় ৯০ পাতা ধরে বর্ণনা লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়। এছাড়া খাতায় পাবেন ছবিতে ব্যবহৃত সম্পাদনা, নেপথ্য সংগীত, সাউন্ড ও স্পেশ্যাল এফেক্টের যাবতীয় খোঁজখবর।
সেন্টর ফর নিউ মিডিয়া, সত্যজিৎ পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায়, মৃণাল সেনের পুত্র কুণাল সেন ও পূর্ণিমা দত্তর উদ্যোগে ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে গেলে গান শোনা যাবে, ছবি দেখা যাবে, স্ক্রিপ্ট পড়া যাবে বাংলা ও ইংরেজি দু'টি ভাষাতেই। প্রসঙ্গত, কুণাল সেন কিছুদিন আগে বাবার তৈরি কিছু শর্ট ফিল্ম এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছিলেন। এই খেরোর খাতা দু'টি যদি সবাই পছন্দ করেন, তাহলে সত্যজিতের অন্যান্য ছবির খেরোর খাতাও দেওয়া হবে।