মাস কয়েক আগেই প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দেবিনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রথমবার মা হয়েছেন হিন্দি ধারাবাহিকের এই পরিচিত নায়িকা। মা হওয়ার চার মাসের মাথাতেই দেবিনা এবং তাঁর স্বামী তথা অভিনেতা গুরমিত চৌধুরী জানিয়েছেন, পরিবারে আসছে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম বার আইভিএফ আর দ্বিতীয় বার স্বাভাবিক ভাবেই মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী।
অল্প সময়ের ব্যবধানে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার অভিনেত্রী। দেবিনা গুরমিতের কাছে এটা ইশ্বরের আশীর্বাদের মতো হলেও, অনেকেই তাঁদের নিয়ে কুৎসিত ট্রোল শুরু করেছেন। এবার ট্রোলারদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন গুরমিত। দেবিনার ইউটিউব চ্যানেলে একটি নতুন ভ্লগে গুরমিত ট্রোলারদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি অপেক্ষা করতে পারিনি। এত সুন্দর সঙ্গী থাকলে আপনি কিভাবে অপেক্ষা করবেন। আপনিও অপেক্ষা করতে পারবেন না।’ আরও পড়ুন: অলিম্পিয়ান স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ ‘ঝলক দিখলা জা’র আসরে,ওয়াইল্ডকার্ড প্রতিযোগী
গুরমিত আরও বলেছেন, ‘গুরুতর নোট, লিয়ানার জন্মানোর যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। আমরা চার থেকে পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলাম। লিয়ানা আমাদের পৃথিবী। কিন্তু তার পরে...’। তার বক্তব্য শেষ হতেই দেবিনা বলেন, ‘কিন্তু সেই প্রক্রিয়ার পরে, যখন এত বছর ধরে গর্ভধারণের জন্য এত কঠিন চেষ্টা করেছি এবং প্রতি মাসে ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি, কখনও কল্পনাও করতে পারিনি এটা স্বাভাবিকভাবেই ঘটতে পারে। গুরমিতও খুব অবিশ্বাসের মধ্যে ছিল। এটা ঘটেছে।’ আরও পড়ুন: গোলাপী রঙের শাড়ি, কপালে চওড়া সিঁদুর, গা ভর্তি গয়না! ‘সাধ’ খেলেন হবু মা বিপাশা
আগের ভ্লগনে দেবিনা জানিয়েছেন, গুরমীত নাকি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। তারপর চিকিৎসকের কথায় তাঁর বিশ্বাস হয়। অপর এক ভ্লগে দেবিনা জানিয়েছেন, ভ্লগে দোকানে গিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে রীতিমতো অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। কারণ সকলেই জানে তিনি ক'দিন আগেই মা হয়েছেন। দেবিনা বলেন, ‘আমার প্রথমে কেমন একটা লাগছিল দোকানে গিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনে আনতে। সবাই তো জানে আমি ক'মাস আগেই মেয়ের জন্ম দিয়েছি। তাই আমি অনলাইনে অর্ডার করি।’ আরও পড়ুন: সাদা ক্রপ টপ, ট্রাউজারে বিমানবন্দরে ক্যাজুয়াল লুকে সুহানা! ফিরলেন লন্ডন থেকে
গত এপ্রিল মাসে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন দেবিনা। নেটমাধ্যমে সুখবর দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী অভিনেতা গুরমিত চৌধুরী। লিখেছিলেন, 'আমাদের কন্যাসন্তান হয়েছে। সকলের ভালবাসা এবং আশীর্বাদের জন্য কৃতজ্ঞ আমরা।’