বাঙালিরা আনন্দের বহিঃপ্রকাশ একটু রেখেঢেকে করেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া আমাদের মধ্যে খুব একটা কমন নয়। বাঙালিদের সেই দিকটাই মজার ছলে তুলে ধরলেন কৌতুকশিল্পী অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, 'আমি ডিপ্রেসড নই, আমি আসলে বাঙালি!'
ফেসবুকে এক ভিডিয়োয় মজার ছলে তিনি বলেছেন, 'অনেকে আমায় প্রশ্ন করেন আমার মন খারাপ কিনা। আমি তখন জানাই একেবারেই নয়। আমার এই গম্ভীর মুখটাই আসলে আনন্দের এক্সপ্রেশন!'
এরপর বেশ কিছু তুলনাও তুলে ধরেন তিনি। যেমন ধরুন ছোটবেলায় রেজাল্ট ভালো হলে মা-বাবারা বলতেন, 'ভালো করেছিস। আবার কর এরকম।' কখনওই ভালো রেজাল্ট বলে মা-বাবারা আনন্দে লাফিয়ে উঠতেন না। আবার জন্মদিনেই ধরুন। জন্মদিন বলেই যে নেচে বেড়াতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। বিশেষত আম বাঙালির জন্মদিন ওই পায়েসেই সীমাবদ্ধ। আনন্দে আত্মহারা হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
তবে একটা দিক দিয়ে বাঙালি ব্যতিক্রম। আর সেটা হল রাগ, বিরক্তি দেখানোয়। সেই সময়ে কিন্তু বাঙালিদের মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায়। কয়েকটা উদাহরণ দিয়েও দেখালেন কৌতুকশিল্পী।
বাঙালিদের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কি সত্যিই আছে? কমেন্টে জানান আপনার মতামত।