বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Jaya Bachchan: ‘ঝোপঝাড়ের পিছনে গিয়ে স্যানিটারি কাপড় বদলাতাম’, ঋতুস্রাবের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জয়ার

Jaya Bachchan: ‘ঝোপঝাড়ের পিছনে গিয়ে স্যানিটারি কাপড় বদলাতাম’, ঋতুস্রাবের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জয়ার

ঋতুস্রাব নিয়ে অকপট জয়া

Jaya Bachchan: ‘আমরা প্লাস্টিক ব্যাগ সঙ্গে রাখতাম, যাতে সেখানে প্যাড ফেলতে পারি’- কেরিয়ারের শুরুর দিনে মাসিকের দিনে বেজায় সমস্যায় পড়তে হত আউটডোর শ্যুটিং থাকলে জানালেন জয়া বচ্চন। 

বলিউডের অন্যতম চর্চিত স্টারকিড নভ্যা নভেলি নন্দা। দাদু-দিদিমার পদচিহ্ন অনুসরণ করেননি নভ্যা, অভিনয়ে আগ্রহী নন শ্বেতা বচ্চন নন্দার কন্যে। অল্প বয়সেই নভ্যা একজন সফল উদ্যোগপতি, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন নভ্যা। একটি পডকাস্ট শো সঞ্চালনা করেন নভ্যা। ‘হোয়াট দ্য হেল নভ্যা’র সাম্প্রতিক এপিসোডে মা শ্বেতা এবং দিদিমা জয়া বচ্চনের সঙ্গে ‘পিরিয়ডস' এবং জনন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করলেন।

দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্য সভায় দাদু অমিতাভ বচ্চনের উপস্থিতিতে ঋতুস্রাব বা মাসিক নিয়ে কথা বলেছিলেন নভ্যা। এবার দিদিমা আর মায়ের সঙ্গে ঋতুস্রাব নিয়ে অকপটে কথা বললেন, জানলেন কেমন ছিল তাঁদের প্রথম মাসিকের অভিজ্ঞতা। শ্বেতা তো স্পষ্ট জানান, ‘ল্যাদ খেয়ে গোটা দিন কাটাতে চাইতাম। অনেক চকোলেট আর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতাম’। কেরিয়ারের গোড়ায় পিরিয়ডসের দিনগুলোয় কেমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে জয়া বচ্চনকে? সেই অভিজ্ঞতার কথা এদিন জানালেন বচ্চন ঘরণী।

তিনি জানান, ‘আমাদের খুব অসুবিধা হত’। জয়া স্পষ্ট জানান, স্যানিটারি কাপড় বদলাতেও বেগ পেতে হত অভিনেত্রীদের। কারণ সেইসময় কোনও ভ্যানিটি ভ্যানের সুবিধা ছিল না। তাই শ্যুটিং সেটে মহিলাদের কাজের নন্যুতম সুবিধাটুকু মজুত থাকতো না।

জয়া বলে চলেন, ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল (শ্যুটিংয়ের মাঝেই পিরিয়ডস হলে)। আমরা যখন আউটডোর শ্যুট করতাম আমাদের ভ্যানিটি থাকত না। আমাদের বোঝঝাড়ের পিছনে গিয়ে স্যানিটারি কাপড় বদলাতে হত… মানে পুরো পাগল পাগল পরিস্থিতি! টয়লেট থাকত না, তোমাকে মাঠে বা পাহাড়ের উপর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যেতে হত। খুব অদ্ভূত পরিস্থিতি ছিল, লজ্জাজনক’।

এরপর জয়া ক্ষমা চেয়ে নেন, সত্যি কথাগুলো এমন বেফাঁসভাবে বলবার জন্য। তারপর যোগ করেন, ‘আমরা প্লাস্টিক ব্যাগ সঙ্গে রাখতাম, যাতে সেখানে প্যাড ফেলতে পারি। সেই প্যাড বাস্কেটে রেখে দিতাম, বাড়ি এসে সেগুলো থেকে মুক্তি পেতাম। ভাবতে পারো কখনও কখনও একসঙ্গে চারটে স্যানিটারি কাপড় নিয়ে কাজ করে যেতাম? খুব অস্বস্তি হত… যখন ছোটছিলাম আমরা স্যানিটারি কাপড় ব্যবহার করতাম… কিন্তু আজকের মতো সুবিধা ছিল না, তোমরা যেমন ছিপকে নাও (প্যান্টিতে)। আমাদের একটা বেল্ট বানাতে হত, এরপর সেই বেল্টে টাওয়ালগুলো বাঁধতে হত… খুব বাজে পরিস্থিতি হত’।

নভ্যা আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,‘আমি সৌভাগ্যবান যে আমি এমন বাড়িতে বড় হয়েছি যেখানে ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বলাটা খুব সহজ ছিল’। সেই ছবিই উঠে এল এই পডকাস্টে।

২০২০ সালে একটি মেয়েদের জন্য একটি অনলাইন হেলথকেয়ার প্রোর্টাল (আরা হেলথ) শুরু করেছিলেন নভ্যা। এছাড়াও ‘নভেলি’ নামের একটি ক্যাম্পেন প্রোজেক্ট শুরু করেছেন নভ্যা, যার মাধ্যমে মেয়েদের সমানাধিকারের লড়াই চালান বচ্চনের নাতনি।

 

 

বন্ধ করুন