রবিবার থেকেই যেন আসছে একের পর এক খারাপ খবর। বিনোদন জগতের একের পর এক নক্ষত্রের চলে যাওয়ার খবর আসছে। রবিবার সন্ধের দিকে জানা যায় না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব, ‘বঙ্গবালা’ হিসেবে পরিচিত শাওলি মিত্র। এরপর রবিবার রাতে খবর আসেন ‘কত্থক সম্রাট’ বিরজু মহারাজও আর নেই।
সোমবার সকালে স্ট্রোক-পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পণ্ডিত বরুণকুমার পাল। সঙ্গীতমহল তাঁকে জেনে ‘হংসবীণার পথিকৃৎ’ হিসেবে। প্রয়াত কিংবদন্তি সেতারবাদক রবিশঙ্করের সুযোগ্য ছাত্র ছিলেন তিনি। এমনকী, মারা যাওয়ার আগে রবিশঙ্কর তাঁকে বাদ্যযন্ত্র ‘স্লাইড গিটার’ বা ‘হংস বীণা’র পথিকৃৎ-এর সম্মানেও ভূষিত করে যান।
দেশ-বিদেশে পারফর্ম করেছিলেন বরুণকুমার। মৃত্যুকালে এই বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পীর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর আর তিনি পুরো সেরে ওঠেননি। সোমবার ঘুমের মধ্যেই মারা যান তিনি।
বরুণকুমারের কন্যা চন্দ্রিমা পাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে সকলকে এই দুসংবাদ দেন। তিনি লেখেন, ‘বাবা, পণ্ডিত বরুণ কুমার পাল আজ সকালে ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছেন, গত চার মাসের যুদ্ধের পর। আপনারা যাঁরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চান, দুপুরের মধ্যে জানাতে পারেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা ভিড় এড়িয়ে যেতে চাইছি।’