হাঁসখালির ঘটনা সামনে আসতেই ফের নড়েচড়ে বসেছে গোটা রাজ্য। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা কথা যেন বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে শিউড়ে উঠেছেন অনেকেই। প্রতিবাদ এসেছে সবদিক থেকে। এবার আর মুখ বুজে থাকেনি তারকারা।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে ওই কিশোরী মারাও যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা কথাগুলো ‘অসংবেদনশীল’ এবং ‘আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, ওই কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ‘ঘটনাটা খারাপ। ছেলেটা অ্যারেস্ট হয়ে গেছে। তবে মেয়েটার সঙ্গে ছেলেটার লাভ অ্যাফেয়ার ছিল বলে আমি শুনেছি। বাড়ির লোকেরাও সেটা জানত। সত্যিই ধর্ষণ হয়েছে, না প্রেগনেন্ট ছিল। না অন্য কোনও কারণ হয়েছে। না কি কেউ ধরে ২টো চড় মেরেছে। শরীরটা খারাপ হয়েছে কীভাবে জানব।’
সৃজিত তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হাঁসখালির ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের আপত্তিকর এবং অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন, তা অভাবনীয়। আমি হতবাক এবং বাকরুদ্ধ।’
তৃণমূল দলের অন্দর থেকেও কিন্তু একটু হলেও উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে দুই অভিনেত্রী তৃণা সাহা ও রণিতা দাস-রা জানান তদন্ত হোক। তৃণার কথায়, ‘তৃণমূল সমর্থ হিসেবে নয়, একজন নারী হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। শাস্তি হওয়া দরকার দোষীদের। আমরা তো জানি না, ঘটনাস্থলে ঠিক কী কী ঘটেছিল। সেটা জানার জন্য যত দ্রুত সম্ভব আইনি পথে যেতে হবে।’ দিদি (মমতা)-র কথার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর জবাব, ‘উনি যা বলেছেন তা নিয়েই যদি হইচই চলে, তা হলে তো তদন্তে দেরি হবে। সুবিচার পেতে দেরি হবে মেয়েটার।’
এদিকে বাহা অভিনেত্রী রণিতা জানান, ‘কে কি মন্তব্য করছে, কেন করছে সেটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। হতেই পারে দিদি আমাদের থেকে বেশি জানেন। তবে আমার বিশ্বাস একজন মহিলা হিসেবে দিদিও চান দোষীদের শাস্তি হোক।’