বলিউডের অন্যতম আদর্শ দম্পতি অভিষেক-ঐশ্বর্য। রাই সুন্দরীর রূপের মোহিত শুধু আসমুদ্রহিমাচল নয় বরং গোটা বিশ্ব। প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্যর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সলমন, বিবেকের। তবে অভিষেককেই নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন অ্যাশ। কেরিয়ারের মধ্য গগণে থাকাকালীনই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন নীল নয়না সুন্দরী। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ১৫ বছর পার করে ফেলেছেন তাঁরা। অভিষেক-ঐশ্বর্যর সুখী গৃহকোণ, তাঁদের সম্পর্কে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির নাম জড়ায়নি কোনওদিন। সন্তানের জন্ম দিয়ে কেরিয়ারকে কার্যত বিসর্জন দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। সেই নিয়ে তাঁর কোনও আফসোস নেই। মায়ের পদচিহ্ন অনুসরণ করেই একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠছে আরাধ্যা।
বলিউডের স্টার কিডসদের মধ্যে আরাধ্যার প্রশংসা সবার মুখে মুখে। নিজের ব্যবহার, আচরণ, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিমেষে সবার মন জিতে নেয় ঐশ্বর্য কন্যা। পরিচিত মহলে সকলে বলেন ‘মায়ের প্রতিচ্ছবি আরাধ্যা’।
অভিষেকের কথায়, 'পৃথিবীর সেরা মা ঐশ্বর্য'। সন্তানের প্রতি অ্যাশের সমপর্ণ সত্যি চোখে পড়ার মতো। আরাধ্যা পৃথিবীর আলো দেখবার পর থেকে ঐশ্বর্যর জীবনে সবচেয়ে জরুরি আরাধ্যা। স্বামী এবং নিজের মায়ের চেয়েও বেশি গুরুত্ব আরাধ্যাই পায় ঐশ্বর্যর কাছে। মেয়ের স্কুলের হোমওয়ার্ক থেকে তাঁর দেখাশোনা সবটা নিজে করান ঐশ্বর্য, এই ব্যাপারে কারুর উপর নির্ভরশীল নন রাই সুন্দরী।
এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য বলেছিলেন, ‘আরাধ্যার জন্মের আগে আমি কেমনভাবে বাঁচতাম আমার আজ মনে নেই। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যেদিন ও জন্মেছিল আমার দুনিয়াটাই বদলে গিয়েছিল’।
বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হিসাবেও নিজের কর্তব্য় পালনে সদা তৎপর ঐশ্বর্য। স্ত্রী, বউমা, মা- সব ভূমিকাতেই সফল বার্থ ডে গার্ল ঐশ্বর্য। নিজের স্বপ্নের পুরুষকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন ‘পন্নিয়িন সেলভান’ তারকা। ঐশ্বর্যর ৪৯তম জন্মদিনে বউয়ের একটি সাদা-কালো থ্রোব্যাক ছবি শেয়ার করেছেন অভিষেক। লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন বউ! ভালোবাসা, আলো, শান্তি আর চিরন্তন সাফল্যে ভরে উঠুক জীবন’।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন হওয়ার সহজ নয়। তবে তার চেয়েও কঠিন আরাধ্যার মা হওয়া। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই। বিয়ের চার বছরের মাথায় ২০১১ সালে মেয়ের জন্ম দেন ঐশ্বর্য।