প্রায় দু-বছর আগেই বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন ফারহা খান আলি (Farah Khan Ali)। ডিজে আকিলের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক আর টিকিয়ে রাখবেন না, ২০২১ সালের মার্চ মাসেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সুজান খানের দিদি। অবশেষে আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গেল ফারহা-আকিলের। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিভোর্সের খবর জানান পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার ফারহা।
গত দু-বছর ধরেই আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। এবার বিচ্ছেদে আইনি শিলমোহর পড়ল। এদিন প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ফারহা লেকেন, ‘আইনিভাবে আমারা এখন আলাদা, এই ডিভোর্স নিয়ে দুজনেই খুশি। পরস্পরের জন্য রইল অনেক শুভ কামনা, ভালোবাসা। নতুন যাত্রা দুজনেরই শুভ হোক। আমরা আজীবন আমাদের দুই সন্তান আজান এবং ফিজার বাবা-মা থাকব, কোনও কিছুই বদলাবে না। যে সময়টা একসঙ্গে কাটিয়েছি তার জন্য কৃতজ্ঞ’।
এদিন ফারহা-আকিলের ১১ বছরের দাম্পত্যে পাকাপাকি ছেদ পড়ল। আগামিতে দুজনেই তাঁদের দুই সন্তানের দেখভাল করবেন এবং বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখবেন, এই বার্তাই উঠে এসেছে ফারহার পোস্টে। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা নতুন শুরুর জন্য ফারহা ও আকিলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুইঙ্কল খান্না থেকে সুজান খান, সবাই লাল হৃদয়ের চিহ্ন আঁকেন ফারহার পোস্টে।
সঞ্জয় খানের বড় মেয়ে ফারহা খান আলি। দু-বছর আগে বিচ্ছেদ ঘোষণা করে ফারহা জানিয়েছিলেন, 'বিয়ের ৯ বছর পরে, আমার স্বামী আকিলের সঙ্গে আমার সম্পর্কের স্টেটাস বদলে স্বামী-স্ত্রী থেকে বন্ধু হয়ে যাচ্ছে, এবং আমি বলতে চাই যে আমরা ‘হ্যাপিলি সেপারেটেড’। আমরা আজীবন সবচেয়ে কাছের বন্ধু থাকব, এবং আমাদের দুই সন্তান আজান ও ফিজার জন্য একজন আদর্শ বাবা-মা হওয়ার চেষ্টা করব। যাঁরা দুজনেই আমাদের সমানভাবে ভালোবাসে এবং আমরা আর দম্পতি হিসাবে থাকতে পারব না সেই বিষয়টাও তাঁরা মেনে নিয়েছে'।
এই বিখ্যাত জুয়েলারি ডিজাইনার আরও লিখেছিলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একেবারেই ব্যক্তিগত এবং পরস্পর একসঙ্গে বসে নেওয়া, এর পিছনে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি জড়িয়ে নেই। তাঁদের একে অপরের বিরুদ্ধে কোনওরকম ক্ষোভ বা অভিমান নেই, প্রয়োজনে আজীবন তাঁরা পরস্পরের পাশে থাকবেন, যেমনটা গত ৯ বছর ধরে ছিলেন। তাঁর সংযোজন ছিল, ‘আকিল আমার পরিবার, এবং আজীবন আমার পরিবার হয়েই থাকবে। আশা করছি আমাদের শুভাকাঙ্খীরা এই সিদ্ধান্তটা সহজভাবে মেনে নেবে এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া করবে না’।