শিশুরা যাই শোনে তাই নাকি পুনঃরাবৃত্তি করতে পছন্দ করে! অভিনেত্রী আথিয়া শেট্টিও শৈশবে এমনই ছিলেন। আজ সুনীল কন্যার ২৮ তম জন্মদিন। গত বছর মেয়ের ছেলেবেলার কথা বলতে গিয়ে এক মজাদার ঘটনা ফাঁস করেছিলেন সুনীল শেট্টি। কীভাবে বাবা সুনীল শেট্টিকে তাঁর ছবির ডায়লগ দিয়ে বিব্রত করেছিলেন আথিয়া।
সুনীল শেট্টি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে তাঁর সিনেমা ‘গোপী কিশান’এর একটি সংলাপ ‘মেরে দো দো বাপ (আমার দুটো বাবা)’ সেই সময় দর্শকদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি যেখানেই যেতেন, লোকেরা তাঁকে লাইনটা বলত। বাড়ি আথিয়া নাকি এটি শিখে ফেলেছিল। আথিয়াকে শতবার বারণ করা সত্ত্বেও সেই ওই সংলাপ বার বার বলতো সে।
হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল শেট্টি আরও বলেন, ‘আমি কখনই ভাবতে পারি্নি এত সহজ সরল এই সংলাপ এত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আমি জানি না ওই শিশু অভিনেতা কোথায় রয়েছে যে ওই দৃশ্যের পরে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর দুষ্টু সুলভ চেহারা ছিল সবার মন জিতে নিয়েছিল। তবে তাঁর নাম আমার মনে পড়ছে না'। তিনি আরও বলেন, ‘লোকে যখনই আমাকে জনসমক্ষে দেখত, তারা বলত যে ‘মেরে দো দো বাপ।‘ এমনকি আথিয়াও ছবিটি দেখার পরে, আমাকে বলতে শুরু করে, ‘মেরে দো দো বাপ’ এবং আমি তাকে বলি ‘না না আথিয়া…এটা মজার নয়’ কিন্তু সে এটা বলে ভালোবাসত এবং পুনঃরাবৃত্তি করত'।
বাবা সুনীল শেট্টির সঙ্গে নাকি আথিয়ার একেবারে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আথিয়া জানাান, ‘আমি বাবার বিষয়ে আমি যেটা সবচেয়ে পছন্দ করি তা হল উনি জাজমেন্টাল নন।তিনি অত্যন্ত উৎসাহী এবং সর্বদা আমার পাশে থাকেন। আমার যে কোনও সিদ্ধান্তকে উৎসাহ দেন এবং কখনই কোনও ব্যাপারে না বলেন না'।
আথিয়া আরও জানাান, আমি আমার স্ক্রিপ্টগুলি এবং যে কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি অনিশ্চিত সেগুলি নিয়ে আলোচনা করি।(আমার বাবা) আমাকে নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করেন। প্রত্যেকেরই নিজস্ব যাত্রা এবং তার উত্থান-পতন রয়েছে। আমি তাঁর ভুলগুলো থেকে শিখব, তার মানে এই নয় আমি সিদ্ধান্ত নেব না'। সুনীল শেট্টিকে ‘কুল ড্যাড’ এর তকমা দিয়েছেন আলিয়া।
আথিয়ার সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার কেএল রাহুলের প্রেমের গুঞ্জন বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘোরাফেরা করছে। সুনীল বলেছেন, তিনি তার সন্তানদের ভালোবাসেন এবং তাঁর সন্তানরা যাঁদের ভালোবাসে তাঁদেরকেও নিজের সন্তানের চোখেই দেখেন। জীবনে তোমার কী পেশা সেটা জরুরি নয়, বরং তুমি সুখী আছো কিনা সেটা বেশি জরুরি। সেটার উপরেই সন্তানদের জোর দিতে শিখিয়েছেন সুনীল।
সন্তানের ক্যারিয়ার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি ১২৬টা সিনেমা করার পরেও কেউ বলতে পারে না যে আমি অনেক সিনেমা করিনি। আমি অনেক বেশি পরিমানে সিনেমা করেছি। আমার একটু বিরতি নেওয়া দরকার ছিল। আথিয়া এবং আহানের কেরিয়ার আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি আমার এটিকে সহজ করে নেওয়া উচিত এবং তাদের প্রতি মনোনিবেশ করে, আমি যা শিখেছি তা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত'।