মিস এশিয়া প্যাসিফিকের (২০০০ সালে) খেতাব রয়েছে অভিনেত্রী দিয়া মির্জার মুকুটে। আজ ৩৯ বছরে পা রাখলেন তিনি। ২০০১ সালে আর মাধবনের বিপরীতে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ হয় অভিনেত্রীর। এরপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০০০ সালে মিস ইন্ডিয়ার দৌড়ে লারা দত্ত এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাছে হেরে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছিলেন দিয়া। তবে প্রত্যেকেই সে বছর কোনও না কোনও ইতিহাস গড়েছিলেন। নতুন শতাব্দীর শুরুতেই তিনটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন লারা-প্রিয়াঙ্কা-দিয়া। ২০০০ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় এই তিন সুন্দরী জিতে নিয়েছিলেন মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ড ও মিস এশিয়া প্যাসিফিকের মুকুট।
তাঁদের কেরিয়ারের গ্রাফটা একেবারে আলাদা। তা নিয়ে কোনও আফসোস নেই বলে তিনি আগেই জানিয়েছেন। ২০১৬ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে যখন তিনজনকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন বিষয়টি দিয়া খোলসা করেছিলেন। প্রিয়াঙ্কার কোয়ান্টিকো নিয়ে দিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ওর জন্য খুব গর্বিত। আমাদের জার্নিটা ভীষণ আলাদা যদি তুমি আমায়, প্রিয়াঙ্কাকে এবং লারাকে দেখ। আমরা নিজেরা যেটা ঠিক করেছি সেটাই করেছি। প্রিয়াঙ্কা অভিনয় জগতে এগিয়ে চলেছে, লারা তাঁর মাতৃত্বকে সম্পূর্ণ উপভোগ করছে এবং ছবি করছে, এবং আমি ছবি করছি, এই সম্পর্কে আমাদের ঈর্ষা বোধের কোনও কারণ নেই।'
দিয়া আরও জানিয়েছেন, তুলনা করার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা এবং লারাও একই কথা বলবেন। তিনি বলেন, ‘যদি তুমি প্রিয়াঙ্কা বা লারাকে প্রশ্ন কর, তবে তারাও বলবে, আমরা কী বেছে নিয়েছে তার ফলাফল আমরা নিজেরাই। আমরা নিজেদের ধারণার দ্বারা নিজেদের স্থানে।'
সম্প্রতি দিয়াকে অনুভব সিনহার ‘থাপ্পড়’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল। ছবিতে তিনি ছোটো একটি মেয়ের ডিভোর্সি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। যে তাপসী পান্নুকে ক্রমশও সাহস যুগিয়ে এসেছে ছবিতে। পার্শ্বচরিত্র হিসেবে তাঁর ভূমিকা দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে।
দিয়ার সবচেয়ে স্মরণীয় সিনেমাগুলি হল ‘রেহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘পরিণীতা’ এবং ‘হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড’।