বেশ করেছি প্রেম করেছি! এখন জোর গলায় কথাই বলছেন দিতিপ্রিয়া রায়। প্রেম নিয়ে খোলামেলা অভিনেত্রী, তবে প্রেমিকের পরিচয় গোপন রেখেছেন। বাংলা টেলিভিশনের মুকুটহীন রানি তিনি। সবার প্রিয় রানিমা। এখন অবশ্য ছোটপর্দা থেকে অনেক দূরে। আরও পড়ুন-‘কেন ওই আমার প্রেমিক?’ দিতিপ্রিয়ার ভাঙা মনের দাওয়াই রিভু! রোম্যান্স নিয়ে অকপট রানিমা
শনিবার দিতিপ্রিয়ার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনটা কি বিশেষ মানুষের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী? উত্তর জানা নেই। তবে জন্মদিনে প্রেমিককে নিয়ে নতুন তথ্য সামনে আনলেন দিতিপ্রিয়া। বয়ফ্রেন্ড ইন্ডাস্ট্রির মানুষ নন, এবং কলকাতায় থাকেন না আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার জানালেন, চেন্নাইতে থাকে প্রেমিক। যিনি এখন সকলের কাছে রিভুবাবু নামে পরিচিত, কারণ হবু জামাইকে এই নামেই ডাকেন দিতিপ্রিয়ার মা। চেন্নাইতে থাকলেও প্রেমিক কিন্তু বাঙালি, কাজের সূত্রে চেন্নাইতে থাকা।
প্রেমিক কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত সেটাও ফাঁস করতে চান না দিতিপ্রিয়া। তবে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, প্রেমিকের কাজ তিনি দেখেন। দিতিপ্রিয়ার অভিনয় দেখে কী প্রতিক্রিয়া রিভুবাবুর? মুচকি হেসে নায়িকা বলেলন, ‘বলে, সিরিজে তুই এত কাঁদিস কেন? প্লিজ আর কাঁদিস না’।
কেন রিভুবাবু-তেই মন হারালেন দিতিপ্রিয়া? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বাহ্যিক সৌন্দর্য নয় বংর মানুষ দিতিপ্রিয়াকে ভালোবাসেছে প্রেমিক। সেই কারণেই তাঁদের সম্পর্ক এত গভীর। সঙ্গে যোগ করেন, ‘ছেলেরা তো সহজে সব কথা বলে না। তবে ও আমাকে ছোট-বড় ওর জীবনের সব কথা বলে। আমার মধ্যে ও যে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে, সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি’।
এবার জন্মদিনের আগে সপরিবারে পৌঁছে গিয়েছেন পুরী। জগন্নাথের দর্শন সেরেই জন্মদিনের উদযাপন সারলেন দিতিপ্রিয়া। দিতিপ্রিয়াকে শেষ দেখা গিয়েছে রাজনীতি ২-তে। সদ্য পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলার শ্যুটিং শেষ করেছেন দিতিপ্রিয়া।
এর আগে নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানিয়েছিলেন, ‘এটা আমার প্রথম প্রেম নয়। এর আগেও আমার জীবনে প্রেম এসেছিল। তবে সেটা থাকেনি। সেটা হয়ত, একপক্ষ ছিল বা কোনওভাবে হয়নি। তবে সেটাও যে বাচ্চা বাচ্চা প্রেম ছিল, এমনটাও নয়। সেটাও সিরিয়াস ছিল। তবে হ্য়াঁ, আমি চিরকালই মনে করি, যে কমিটমেন্টটা রাখতে পারব, সেটাতেই এগোব।’
প্রেম ভাঙায় তীব্র যন্ত্রণা পেয়েছিলেন। মিউচুয়ালিই সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে এসেছেন। যখন বুঝেছেন অপর তরফে কোনও ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট নেই। তাঁর কথায়, ‘এক্ষেত্রে কেউ তো কাউকে বলে না, যে বের হয়ে যাও, তাঁর ব্যবহারে বুঝে নিতে হয়।’ রিভুর আগে দিতিপ্রিয়ার জীবনে যে মানুষটি ছিলেন, তিনি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লোক। একবার প্রেমে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার আর টলিপাড়ার কাউকে মনে ধরল না দিতিপ্রিয়ার।