'প্রেমে পড়া বারণ নয়' ছোট থেকেই এই কথা বিশ্বাসী শ্রাবন্তী। অভিনেত্রীর লাভ লাইফ (পড়ুন বিয়ে) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। টলিগঞ্জে একথা কারুর অজানা নয়, শ্রাবন্তী খুব প্রেমিক মানুষ এবং প্রেমে পড়লে সংসার পাততেও ভালোবাসেন। যদিও সেই সংসার সুখের হয়নি, দু-বার বিয়ে ভেঙেছে এবং তৃতীয় বিয়েও ভাঙনের মুখে। গত বছর অক্টোবর থেকেই এক ছাদের তলায় থাকেন না রোশন-শ্রাবন্তী। এখন শুধু আইনিভাবে সেই বিচ্ছেদে শিলমোহর পড়া বাকি, রোশন যদিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রীর মন গলানোর তবে নিজ অবস্থানে অনড় শ্রাবন্তী।
শ্রাবন্তীর এখনকার প্রেম নিয়ে তো নানান বিতর্ক, গুঞ্জন- হামেশাই শোনা যায়। অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে শ্রাবন্তীর বর্তমান প্রেম নিয়েও নানান ফিসফিসানি শোনা যাচ্ছে টলিগঞ্জে। কিন্তু জানেন কি শ্রাবন্তীর প্রথম প্রেমিকের কথা? একবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রকাশ্যেই নিজের প্রথম প্রেমের কথা স্বীকার করেছিলেন শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীর ৩৫তম জন্মদিনে চলুন ফিরে যাওয়া যাক নায়িকার প্রথম প্রেমের কাহিনিতে।
বছর ছয়েক আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের টক শো ‘সঙ্গে সৃজিত’-এর মঞ্চে শ্রাবন্তীর প্রথম প্রেম নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন দিদি স্মিতা। তিনি বলেন, ‘ক্লাস সিক্সে শ্রাবন্তী প্রেম করেছিল আমাদের পাড়ার একটা ছেলের সঙ্গে। খুব মিষ্টি-মিষ্টি প্রেম ছিল ওদের। খুব কাছাকাছি বাড়ি ছিল আমাদের, জানলা টু জানলা ওদের সেট করা থাকত, ইশারায় কথা বলত…. সেটা খুব মিষ্টি ব্যাপার’। শ্রাবন্তীর সেই প্রেমিকের নামও ফাঁস করে দেন স্মিতা, রাহুলের প্রেমে পড়েছিলেন শ্রাবন্তী।
প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রেমের সেই গল্পটা শ্রাবন্তীও স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই খুব রোম্যান্টিক। প্রেম ব্যাপারটা আমার ভীষণ… মা পছন্দ করত না। আমি দোকানে যাওয়ার বাহানা করে ওর সঙ্গে দেখা করতাম, তার আগে জানলা দিয়ে ইশারা করতাম। গান চালাতাম, দলের মেহেন্দির, দিল সে বা কুছ কুছ হোতা হ্যায়-এর। দোকানে দিয়ে দেখা হত, আমাকে প্রজাপতি বিস্কুট খাওয়াতো ’।
কেন ভাঙল সেই প্রেম? সৃজিতের প্রশ্ন শুনে শ্রাবন্তী জানান, “ওটা ছোটবেলার একটা…. তবে এখনো দেখা হয় মাঝেমাঝে, কথা হয়। বলে ‘গিনু কেমন আছো?’ আমিও পালটা বলি ‘তুমি কেমন আছো?’.. এই আর কী"।
অনুভূতিগুলো পালটে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু নিজের প্রথম প্রেমের কথা আজও ভুলতে পারেননি শ্রাবন্তী।