কঠোর পরিশ্রমই আসল সাফল্যের চাবিকাঠি, রোগা হওয়া নিয়ে অকপট লিজেল

লিজেলের ওজন কমানোর জার্নির মোটেই সহজ ছিল না। নিজেই জানিয়েছেন রেমো পত্নী।

রেমো ডিসুজা স্ত্রী লিজেলের সঙ্গে (ছবি ইনস্টাগ্রাম)

স্ত্রী লিজের ডিসুজার ফিজিক্যাল ট্রান্সফরমেশনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন কোরিওগ্রাফার-প্রযোজক রেমো ডিসুজা। তাঁর সেই ছবি মুগ্ধ করেছে নেটিজেনকে। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লিজেল জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রচেষ্টায় ছিলেন তিনি। 

লিজেল জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালটা আমার কাছে বিশেষ একটা ভালো ছিল না। অক্টোবরে আমার মা মারা গিয়েছেন, সেটায় আমি খুব আঘাত পাই। ছেলে মেয়ে এখনও কিশোর, তাঁদের দিকে মনোযোগ, স্বামী-সংসার সবদিকে নজর দিতে হত। তারপরে একটি সময় আসে যখন আপনি বুঝতে পারেন যে সবকিছু ঠিক আছে, তবে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। আপনি যদি নিজে সুস্থ না হন, তাহলে অন্য কোনও কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি অন্য কারও জন্য ত্যাগ স্বীকার করলেও সেটা পৃথিবীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতক্ষণ না আপনি নিজের যত্ন নিচ্ছেন’। 

২০১৮ সাল থেকে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি নিয়মিত সচেতন হয়েছেন লিজেল। তিনি বলেন, Street Dancer 3D-এর শ্যুটিং-এর সময় থেকে নিজের প্রতি সচেতন হন তিনি। রোগা না হলে শরীরেও রোগ ধরা দিতে পারে। রেমো নাকি তাঁকে বারবারই বলতেন, ‘এটা তোমার মন, তোমাকে শক্তিশালী করতে হবে’। রেমোর এই শব্দগুলোই লিজেলকে নাকি সব থেকে বেশি প্রভাবিত করেছিল। 

লিজেল আরও জানিয়েছেন, সেলিব্রটি ফিটনেস ট্রেনার প্রবীন নেইর তাঁকে লক্ষ্যে পৌঁছোতে অনেক সাহায্য করেছেন। লিজেলের কথায়, তিনি দিনে প্রথম দিকে ১৪ ঘণ্টা, তারপর ১৬ ঘণ্টা এবং ১৮ ঘণ্টা উপোস করে থাকতেন। 

গত দু-বছরে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে লিজেল জানিয়েছেন, 'আমি মনে করি আপনার নিজের প্রতি একটু স্বার্থপর হওয়া দরকার। এটি ছিল এক পয়েন্ট যা সবকিছু বদলে দিয়েছে। আমি স্ট্রিট ড্যান্সারের শুটিংয়ের জন্য লন্ডন ভ্রমণ করেছি এবং ক্রমাগত প্রবীনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আমি খাওয়াদাওয়ার নিয়ম মেনে চলেছি। ওর বলেছিল কাউকে না জানিয়ে আমাকে নিজের ওপর ৩০-৪০ দিন সময় খরচ করতে হবে। আমি গরম পোশাক পরা ছিলাম, লন্ডনের মানুষ তাই বুঝতে পারেনি। কিন্তু দুবাইতে পরবর্তী সময়সূচীতে, লোকেরা বলতে শুরু করে 'আপনার ওজন কমেছে'।