বিশ্বকাপে ভারত অস্টেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় বিসাদে ডুবেছে গোটা দেশ। এদিকে মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান যেন নতুন করে উৎসাহ পেয়েছেন। একের পর এক কটাক্ষে ভরা পোস্ট করেই চলেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। এবার যেমন হাতিয়ার করলেন কপিল দেবকে। আমন্ত্রণ জানায়নি ফাইনাল দেখার জন্য জানতে পারর পর থেকেই প্রতিবাদে গলা মিলিয়েছে গোটা দেশ। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন হাসিন। যদিও নেট-নাগরিকদের ধারণা, কপিলের নাম নিয়ে আসলে তিনি করছেন ‘নিজের স্বার্থসিদ্ধি’।
নেটপাড়ার দাবি কপিল দেব একটি অজুহাত মাত্র। আসলে ফের একবার শামিকেই নিশানা করেছেন তিনি। শামির পাশে থাকা ভারতীয় দলকেও আসলে ছাড়ছেন না। ‘কপিল দেব স্যার----- যেহেতু আমাকে কেউ ডাকেনি, আমিও যাইনি। হতে পারে সব ভিআইপি এবং বলিউড অভিনেতাদের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে আমাকেও ফোন করতে ভুলে গেছে।’
হাসিন আরও লেখেন, ‘প্রিয় স্যার, আপনি আমাদের গর্ব। কেউ আপনাকে না ডাকলেও আপনার অহংকার কখনও কমবে না। ক্রিকেটের ইতিহাসে আপনার নামটি সোনালি শব্দে লেখা আছে এবং থাকবে। আপনি সর্বদা মহান ক্রিকেটার হয়েই থাকবেন, যিনি ভারতের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।’
এতদূর ধিক ছিল। এরপরই যেন হাসিন নেমে এলেন ব্যক্তিগত আক্রমণে। লিখলেন, ‘খ্যাতি বা সম্মান নেই, কখনই সারাজীবন কারও সঙ্গে থাকে না। বা লোকেদের প্রশংসা। সহ্য করা এখন থেকেই শিখে যাও। এমনিতেই তুমি সবসময় অভাগা। ভবিষ্যতেও আপনাকে সবাইকেই বিদায় জানাতে হবে। টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে তুই নিজের সংসার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিস। সেই বিষ এখন তোকে সইতেই হবে। তোর সব সব গুণ্ডামি ও চালাকি মুছে যাবে। কর্মফল যেন কাউকে রেহাই না দেয়… এখন লোভকে বিদায় দাও, নইলে তোমার কৃতকর্মের ইনিংস দিতে প্রস্তুত থাকো।’
বহুদিন ধরে আলাদা থাকছেন হাসিন আর শামি। হাসিন জাহানের সঙ্গে মহম্মদ শামির বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। তাঁদের মেয়ের জন্ম হয় ২০১৫ সালে। ২০১৮ সাল থেকেই ঝামেলা শুরু। থাকছেন আলাদা। আপাতত খবর রয়েছে, আলিপুর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী স্ত্রী ও কন্য়ার ভরনপোষণের জন্য সামি মাসে হাসিন জাহানকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা করে দেবেন শামি।
কিন্তু আইনত তাঁরা এখনও স্বামী আর স্ত্রী। হাসিন জাহানের আইনজীবী মৃগাঙ্ক মিস্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দু তরফের কেউই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেনি। তাই বিয়ে ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না।