কদিন ধরেই ফের চর্চায় হাসিন জাহান ও মহম্মদ শামি। কারণ সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের একটি নির্দেশ শামির বিপক্ষে গিয়েছে। বউ হাসিনকে মাসিক দেড় লক্ষ এবং মেয়ের জন্য প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। যদিও হাসিনের স্পষ্ট দাবি, মাসে ৪ লক্ষ টাকা জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। কম করে ১০ লাখ প্রয়োজন।
এদিকে নতুন করে বিতর্কে হাসিন জাহানের বয়স। যেখানে ইন্টারনেট বলছে, হাসিনের বয়স ৪৫ বছর, আর শামির বয়স মাত্র ৩৪। আর তাতেই চটে লাল কলকাতা নিবাসী এই মডেল। অভিযোগ, এই বয়সের কারচুপির পিছনেও নাকি রয়েছে শামির-ই হাত।
হাসিন সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘এক কুকর্মি, যে নিজে বউয়ের থেকে বয়সে ২ বছরের বড়। কিন্তু সেই কুকর্মি নকল নথি বানিয়ে ৮ বছর বয়স কমিয়ে রেখেছে। আর সেই বউ যখন ওর কুকর্ম লোকের সামনে আনতে শুরু করল, আর সেই কুকর্মি বলতেশুরু করল, দেখো আমার থেকে বয়সে বড়, তাও আমি বিয়ে করেছি। তোর বাড়িতে, তোর পরিবারে ইতিমধ্যেই যখন এত সুন্দরী মেয়ে ছিল, তাহলে তুই কেন বিয়ে করলি?’
এখানেই থেমে না থেকে হাসিন তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে আরও লেখেন, ‘বউয়ের এসবে কিছুই যায় আসে না। বউ বুড়ি হোক বা কচি, খরচ তোকেই ওঠাতে হবে। আমি তো বলছি, তুই কেঁদেকেঁদে গোটা দুনিয়াকে বল, তোর ভাবি কত ছোট, আর তোর বউয়ের বয়স ৮০ বছর। এসব কথায় কিছু যায় আসে না। তুই-ই অপমানিত হবি, আর হচ্ছিসও।’
আদালতের তরফে ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ আসার পর হাসিন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে বলেন, ‘বিয়ের আগে আমি মডেলিং এবং অভিনয় করতাম। শামি আমাকে আমার পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য করেছিল। সে চেয়েছিল আমি কেবল গৃহিণীর জীবনযাপন করি। আমি শামিকে এত ভালোবাসতাম যে, আমি আনন্দের সঙ্গে এটি মেনে নিয়েছি... কিন্তু এখন আমার নিজের কোনও আয় নেই। আমাদের ভরণপোষণের সমস্ত দায়িত্ব শামিকে নিতেই হবে।’
একটা সময় আইপিএলে চিয়ারলিডার ছিলেন হাসিন জাহান। সেই সূত্রেই আলাপ দুজনের। এরপর শামি আর হাসিনের বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। ২০১৮ থেকে দুজনে আলাদা থাকেন। তবে তাঁদের এখনও ডিভোর্স হয়নি।