উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের গণধর্ষণ কাণ্ডের জেরে রীতিমতো উত্তাল দেশ। এরই সাথে আবারও প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন এবং সে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা । এই আবহেই উত্তপ্রদেশ সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত । মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতি নিজের আস্থার কথা জানিয়ে বুধবার টুইট করেছেন কঙ্গনা । দাবি করেছেন ২০১৯ সালে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের মতনই এক্ষেত্রেও যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে প্রশাসন ।
হাথরাসের ১৯ বছর বয়সী দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার বীভৎসতায় ইতিমধ্যেই আবার দেশবাসীর মনে ফিরেছে নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি । আপাতত গ্রেফতার হয়েছেন চার অভিযুক্তই । উল্লেখ্য সকলেই তাঁরা উচ্চবর্ণের । অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনের তরফেই ।
এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে কঙ্গনা লেখেন , ‘আমার যোগী আদিত্যনাথের সরকারের উপর আস্থা রয়েছে। হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক তরুণী প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তরা । আর তারপর সেই একই জায়গায় তাদেরকে এনকাউন্টার করা হয়েছিল । এই ক্ষেত্রেও দোষীদের ঠিক একই ভাবে চরম, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি শাস্তি চাই’।
১৪ই সেপ্টেম্বর অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল নিগৃহীতাকে। গত মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয় । অভিযোগ ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় প্রবল মারধর করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টাও করে অভিযুক্তেরা। নৃশংস অত্যাচারে জিভেও গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল তরুণীর। গুরুতর জখম হয়েছিল শিরদাঁড়া ও ঘাড়।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় নির্যাতিতার পা দু’টি সম্পূর্ণ হাতও আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল ।
হাথরাসের পুলিশ সুপার আগেই জানিয়েছিলেন , অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে । এবার যোগ হল খুনের চার্জ । চলছে জেরা । সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। চার্জশিট তৈরির কাজ চলছে। অবিলম্বে সমস্ত তথ্য ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে জমা দেওয়া হবে।