সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে আপতত জেল হেফাজতে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। গত সপ্তাহেই এই মামলায় নাম জড়িয়েছে আরও দুই বলিউড নায়িকার-সারা আলি খান এবং রকুল প্রীত সিং। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরায় রিয়া চক্রবর্তী মাদক ব্যবহারকারী হিসাবে নাম নিয়েছেন দুই বান্ধবী- সারা আলি খান ও রকুল প্রীত সিংয়ের। গত শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেল এই খবর সামনে আনে। এবার এই প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রকুল প্রীত সিং। ড্রাগ মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে রকুলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে মিডিয়া, এমনকি তাঁর নামে ঘৃণা ছড়াচ্ছে সংবাদমাধ্যম এই দাবি তুলে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন রকুন প্রীতি সিং। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল আদালত।
এই মর্মে আদালত কেন্দ্র, প্রসার ভারতী, প্রেস কাউন্সিল এবং ন্যাশান্যাল ব্রডকাস্টার অ্যাসোশিয়েশন অফ ইন্ডিয়াকে দ্রুত কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিন বিচারপতি নবীন চাওয়ালার সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলাকলীন আদালত জানায়, আমাদের কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রিয়া নিজের বয়ান খারিজ করবার আগেই কারুর সম্মানহানি হয়ে গিয়েছে। এটা কাম্য নয়। এটা চলতে পারে না।
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে আদালত জানায়, প্রোগ্রাম কোড এবং অন্য সকল গাইডলাইন মেনে মিডিয়ার সংবিধিবদ্ধ এবং স্ব-নিয়ন্ত্রক সংযম বর্তানো উচিত।
সোমবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে কেপিএস মালহোত্রা জানান, 'এই খবর সঠিক। রিয়া জেরার সময় মাদককাণ্ডে সারা আলি খান ও রকুল প্রীত সিংয়ের নাম নিয়েছেন। তবে এই প্রসঙ্গে আর কোনও তথ্য দেওয়া এখনও সম্ভবপর নয়, এবং দুই অভিনেত্রীকে এখনও সমন পাঠানো হয়নি'।
এদিন রকুল আদালতে জানান, মিডিয়া আমাকে হেনস্তা করছে। আমার বাড়িতে আসছে। আমি তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে মিডিয়া চ্যানেল নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলুক অথবা সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আদালত শুনানি চলাকালীন রকুলের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি কেন?
এদিন আদালতে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোশিয়েশন জানায়, তাঁদের নির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে যা দর্শকের জানানো অভিযোগের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন জাস্টিস সিক্রি। অন্যদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাডিশান্যাল সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা জানান, কেবল অ্যান্ড টিভি রেগুলেশন আইনের আওতায় কারুর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো যায় না টেলিভিশনের মাধ্যমে।