বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খানের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। নিজের বাড়িতেই ডাকাতি আটকাতে গিয়ে ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সইফ। তাঁর অস্ত্রোপোচারও হয়। সাময়িক ভাবে কিছুটা সুস্থ হলে অভিনেতা বিপদমুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু বর্তমানে কেমন আছেন নায়ক? জানালেন মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিফ নিউরোসার্জেন চিকিৎসক নিতিন ডাঙ্গে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই তিনি বলেছেন, ‘সইফ আলি খান বর্তমানে অনেকটাই ভালো আছেন। আমরা ওঁকে হাঁটিয়েছি, তিনি ভালো ভাবেই হাঁটতে পেরেছেন। ওঁর সমস্ত প্যারামিটারও মোটামুটি ঠিক আছে। আইসিইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও ওঁকে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ওঁর মেরুদন্ডে আঘাত লেগেছিল। সেখান থেকে ফ্লুইড বেরিয়ে এসেছিল, এটা থেকে ইনফেকশনের অনেক বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখনও ওঁকে অনেকটা বিশ্রাম নিতে হবে। পাশাপাশি এক সপ্তাহ ওঁর হাঁটা চলাও বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
আরও পড়ুন: সইফের বাড়ির CCTV-তে মুখ দেখা যাওয়া ব্যক্তিকে আটক করল মুম্বই পুলিশ, ধরে আনা হল থানায়
বৃহস্পতিবার ঠিক কী ঘটেছিল?
১৫ জানুয়ারি ভোরে ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতদের আটকাতে গিয়ে সইফ আহত হন। যখন ডাকাতরা আসে তখন সইফ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে বিষয়টা টের পেয়ে নায়ক ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে, তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ই সইফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর ফলে গুরুতর জখম হন অভিনেতা। বর্তমানে তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পাপারাজ্জিদের দেওয়া ভুরিভুরি ফুটেজই কি দায়ি সইফ-করিনার বাড়ির ডাকাতিতে? জবাব কার্তিকের
বাড়ির বাসিন্দারা জেগে উঠতেই ডাকাতরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে এফআইআর নথিভুক্তও করা হয়। অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য বেশ কয়েকটি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজনকে পুলিশ আটক করেছে।
জানা গিয়েছে, সইফের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তকে শেষবার বান্দ্রা রেল স্টেশনের কাছে দেখা গিয়েছিল এবং তাকে ধরতে তল্লাশি চলছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। এরপর বেলা ১১টার দিকে ধরা পড়ে সেই ব্যক্তি। এএনআই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছিল। সেখানেই দেখা যায়, পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে থানায় ঢোকানো হচ্ছে অভিষুক্তকে। ডিসিপি জানিয়েছেন, আপাতত আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।