গা ছমছমে ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন হেমা মালিনী। জানালেন বলিপাড়ায় কেরিয়ার শুরুর সময় কিভাবে 'ভূত'-এর খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি। শুরুর দিকে মুম্বইয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন 'ড্রিমগার্ল'। এরপর সাফল্যের মুখ দেখার পর পরিবার সহ বান্দ্রার একটি বাড়িতে উঠে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে রেডিফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেমা জানান যে একটা সময় প্রতি রাতে মনে হত ঘুমের মধ্যে কেউ যেন এসে দু'হাত দিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরছে। নিমিষে ঘুম ভেঙে যেত তাঁর। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে দেখতেন পাশে তাঁর মা নিশ্চিন্তে অঘোরে ঘুমোচ্ছেন অথচ তাঁর সঙ্গে এই ব্যাপার স্যাপার ঘটছে। লেখাই বাহুল্য, এরপর তাঁর অস্বস্তি বেড়ে চলত আরও।
'তখন 'স্বপ্নো কে সওদাগর' এর শ্যুটিং চলছে। এর মাঝেই সুবোধ মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'অভিনেত্রী'-তে কাজের সুযোগ পেলাম। এরপরেই বান্দ্রার একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে উঠে এসেছিলাম। মনে আছে, ভানু আথাইয়া ওই দু'কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাটে নিজের ডিজাইন করা পোশাকের ট্রায়াল দেওয়াতে আসতেন। সেই ফ্ল্যাটেই উঠেছিলাম। এর কিছু সময় পর জুহুর সেভেন্থ রোডের বাংলোতে সপরিবারে উঠেছিলাম। কয়েকদিন যেতে না যেতেই টের পেয়েছিলাম সেটা পুরোপুরি ‘ভূতুড়ে বাড়ি’। ঠিক সেখানেই এই গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম', জানিয়েছিলেন হেমা।
সামান্য থেমে এই জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলে উঠেছিলেন, 'ওই বাংলোতে প্রতি রাতে ঘুমোনোর সময় মনে হত কেউ যেন আমার গলা টিপে ধরছে। শ্বাস নিতে অসুবিধে হত। ছটফট করতে করতে ঘুম ভেঙে যেত আমার। পাশে তখন মা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন। অস্বাসী বেড়ে চলত আমার। আর এই ঘটনা এক বা দু'রাতের নয়। প্রতি রাতে চলত। শেষপর্যন্ত নিজের ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম'। এরপরেই আর দেরি না করে নিজে জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনেও ফেলেছিলেন হেমা। দ্রুত জিনিসপত্র নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন জুহুর সেই ‘ভূতুড়ে বাংলো’।