একসঙ্গে থাকেন না হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। একসঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ঠিকই। তবে তাঁরা একবাড়িতে, এক ছাদের তলায় থাকেন না। আর এবার এবিষয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন হেমা মালিনী।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে হেমাকে বলা হয় তাঁকে নারীবাদের প্রতীক মানা হয়, কারণ, তিনি তাঁর নিজের বাড়িতেই থাকতেন এবং থাকেন। আর ধর্মেন্দ্র থাকেন অন্যত্র, অন্যবাড়িতে। উত্তরে হেমা হেসে বলেন, ‘নারীবাদের প্রতীক! আসলে এমনটা কেউ চায় না। এটা আসলে ঘটে যায়। যা হয়, আপনাকে মেনে নিতেই হবে। অন্যথায়, কেউ এটা বুঝবেন না যে তাঁরা তাঁদের জীবনে এভাবে বাঁচতে চায় না! প্রতিটি নারীই চায় যে একটা স্বাভাবিক পরিবারের মতো তাঁরও স্বামী, সন্তান হোক। কিন্তু কোথাও, এটা সেই সবের বাইরে চলে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন-'একদিন খালি পেটেও ঘুমিয়েছি ভাই, এখন পারিশ্রমিক কমাতে পারব না', সাফ জানান গজরাজ
আরও পড়ুন-'পাঠান জওয়ান হয়ে গেল যে'! শাহরুখের সিনেমার প্রিভিউ দেখে খুশি নাকি অখুশি ‘ভাইজান’ সলমন?
হেমা মালিনীর কথায়, ‘আার এতে কোনও খারাপ অনুভূতি নেই। এটা নিয়ে কোনও খারাপ লাগা বা দুঃখপ্রকাশ আমি করছি না। আমি নিজেকে নিয়ে খুশি। আমার দুই সন্তান আছে, আমি ওদের খুব ভালো করে মানুষ করেছি। অবশ্যই, উনি (ধর্মেন্দ্র) সবসময় আমার সঙ্গেই সেখানে ছিলেন। সবসময় আসলে, তিনিই চিন্তিত ছিলেন, বাচ্চাদের বিয়ে তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত’। আমি বললাম হবে। যখন সঠিক সময় হবে, সঠিক মানুষটি ঠিক আসবে। ভগবান ও গুরু মায়ের আশীর্বাদে, সবকিছু ঘটেছে।'
প্রসঙ্গত, হেমা মালিনীর সঙ্গে যখন ধর্মেন্দ্রর প্রথম দেখা হয়েছিল, অভিনেতা আগে থেকেই বিবাহিত। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে তাঁর ৪ সন্তানও ছিল। দুই ছেলে সানি দেওয়াল ও ববি দেওল। দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। প্রকাশ কৌর ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দিতে চাননি, আর তাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে একসম বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা। পরবর্তী সময়ে তাঁদেরও দুই সন্তান হয়, নাম রাখেন এষা ও অহনা।
এদিকে সম্প্রতি প্রথম পক্ষের নাতি করণ দেওলের বিয়েতেও অনুপস্থিত ছিলেন ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা এবং তাঁর দুই মেয়ে। সেবিষয়েও মুখ খুলেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। বলেছিলেন, এটা তাঁরই ভুল, কারণ, আলাদা করে হেমা, এষা ও অহনাকে তাঁর আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল। তিনি তিনি কোনওভাবে সেটা করেননি, আর এজন্য বয়সের দোষ বলেই উল্লেখ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এদিকে সানি দেওল পুত্র করণের বিয়ে ধর্মেন্দ্রকে অবশ্য জমিয়ে মজা করতে, নাচতে দেখা গিয়েছিল।