মেয়ে বলিউড প্রবেশ করুক এমনটা কোনওদিনই চাননি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র! এষা দেওলের অভিনয় কেরিয়ার নিয়ে শুরুতে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিলেন বলিউডের হি-ম্যান। কপিল শর্মা শোয়ের নতুন এপিসোডে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন হেমা মালিনী। ড্রিম গার্ল জানান, 'এষা শুরু থেকেই এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে ভীষণ আগ্রহী ছিল, তা খেলাধূলা হোক বা নাচ। আমরা বাড়িতে একসঙ্গে নাচের অনুশীলন করতাম এবং স্বাভাবিকভাবে ছোট থেকেই ওর মনে সেটার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। পরবর্তীকালে পেশাদার নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিল এষার, এমনকি বলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করার। কিন্তু ধরমজির পছন্দ ছিল না মেয়ের নাচ করা কিংবা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা’, খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।
হেমা মালিনীর নৃত্যের লাবণ্য চাক্ষুস করার পর এবং মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ প্রশংসা স্ত্রী কুড়োচ্ছেন তা উপলব্ধি করে, মেয়েদের নিয়ে নিজের মত পাল্টে ফেলেন ধর্মেন্দ্র। সেকথাও জানাতে ভোলেননি হেমা মালিনী।
২০০২ সালে কোই মেরে দিল সে পুছে ছবির সঙ্গে বলিউড সফর শুরু হয়েছিল এষার। যুবা, ধুম,দশ, নো-এন্ট্রির মতো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন এষা। রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত শর্টফিল্ম কেকওয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছে এষাকে।
কপিল শর্মার শোয়ে এষা, মাকে নিয়ে পৌঁছেছিলেন তাঁর শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলা বই ‘আম্মা মিয়া’-র প্রচারে। ২৩ মার্চ প্রকাশিত হচ্ছে এই বই। যেখানে সদ্য মা হওয়া বা মা হতে চলা মহিলাদের জন্য ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস তুলে ধরেছেন এষা। এর সঙ্গেই লেখিকা হিসাবে পথচলা শুরু করলেন এষা।
লেখিকা হিসাবে নিজের নতুন সফর শুরু প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এষা জানিয়েছেন, ‘সবাই বলে থাকে মা হওয়া নাকি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা, আর আমি সৌভাগ্যবান যে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন দুবার হতে পরেছি। আমার দুই কন্যা-রাধ্যা এবং মিয়ারা-কে বড় করে তোলার এই সফর কোনও রোমাঞ্চকর জার্নির থেকে কম নয়। সেইরকমই কিছু টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা আমি মায়েদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। এই সফর, যা অসম্ভব এক্সাইটিং এবং আনন্দে ভরপুর। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক হাসি-কান্না আর নাটক’।
শনিবার সোনি এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে এই এপিসোড।