মেয়ে এষা দেওলকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি দ্য কপিল শর্মা-র শোয়ে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী। সেখানেই নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বেশকিছু চমকে দেওয়ার মতো রহস্য ফাঁস করেছেন এই বর্ষীয়ান তারকা। হেমার জন্য নাকি গোটা হাসপাতালের আগাম বুকিং সেরে রেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কমেডিয়ান কপিলকে হেমা জানান, হ্যাঁ এটা সত্যি! দুই মেয়ে এষা ও অহনার জন্মের সময় গোটা হাসপাতালটাই বুক করে ফেলেছিলেন ধরমজি। যাতে কোনও অনুরাগীর জন্য আমার কোনওরকম অসুবিধা না হয়। তিনি আরও বলেন, তাঁর মা কোনওদিনই রান্নাঘরে প্রবেশ করতে দিতেন না অভিনেত্রীকে। কারণ মেয়ে নাচের মন দিক সেটাই ছিল মায়ের একমাত্র ইচ্ছা। এষা-অহনার জন্মের পর-মেয়েদের দাবি অনুযায়ী রান্না করা শিখেছিলেন হেমা। প্রথম যে জিনিসটা হেমা মালিনী রান্না করতে শিখেছিলেন তা হল ‘ব্রেড পোহা’।
কপিল শর্মার শোয়ে এষা, মাকে নিয়ে পৌঁছেছিলেন তাঁর শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলা বই ‘আম্মা মিয়া’-র প্রচারে। ২৩ মার্চ প্রকাশিত হচ্ছে এই বই। যেখানে সদ্য মা হওয়া বা মা হতে চলা মহিলাদের জন্য ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস তুলে ধরেছেন এষা। এর সঙ্গেই লেখিকা হিসাবে পথচলা শুরু করলেন এষা।
কপিল শর্মা এদিন হেমা মালিনীকে প্রশ্ন করেন পঞ্জাবি খাবার রান্না করতে পারেন কি অভিনেত্রী? জবাবে নায়িকা বলেন না, তবে আমার বাড়ি এসে ইডলি, সাম্বার খান ধর্মেন্দ্র। তাতে কপিল অকপটভাবে জানায়-‘ওটা তো আপনার ভালোবাসায় খেয়ে নেন’।
এষাও এদিন বাবা-মা’র প্রেমকাহিনীর বেশকিছু রহস্য ফাঁস করে দেন। বলেন, একবার বাবা মা’কে ফোন করেছিল এবং কিছুক্ষণ কথা বলার পর মায়ের নাক ডাকার আওয়াজ শুনেছিল। আত্মপক্ষ সমর্থন করে হেমা বলেন, ‘সারা রাত শ্যুটিং করে আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম, তা ছাড়া ভালোবাসার কথা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই ভালোলাগে..তারপর আপনি বোর হয়ে যান!’