২০০ কোটির প্রতারণায় দায়ে জেলবন্দি কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দিজের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নায়িকা। আর্থিক তছরুপ করে যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন সুকেশ, সেই টাকা দিয়েই ‘প্রেমিকা’ জ্যাকলিনের জন্য় দামী দামী উপহার, প্রাইভেট জেটের যাতায়াতের খরচ জুগিয়েছেন। এই মামলায় একাধিকবার ইডির ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থার রাজসাক্ষী জ্যাকলিন।
তদন্ত চলাকালীন জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এবার প্রকাশ্যে এল দুজনের প্রেমকাহিনির ইতিহাস। জানা যাচ্ছে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু এই লাভ স্টোরি। তিহার জেলে বসেই জ্যাকলিনকে ফোন করা এবং মেসেজ পাঠানো শুরু করেন সুকেশ। শুরুর দিকে সুকেশের ডাকে সাড়া দেননি জ্যাকলিন। এরপর নায়িকার হেয়ার ড্রেসারের মারফত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুকেশ।
কনম্যান সুকেশ নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন এক টিভি নেটওয়ার্কের কর্ণধার এবং গয়নার ব্যবসায়ী হিসাবে। নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বলেও জানিয়েছিলেন সুকেশ। এরপর শুরু দুজনের বন্ধুত্ব, খবর ইডি সূত্রের।
ইডির জেরায় জ্যাকলিন জানিয়েছেন, জেলে বসে সুকেশ তাঁকে ফোন করছে এ কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি জ্যাকলিন। এমনকী বারবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। তবে জ্যাকলিনকে জেলে বসেই ভিডিয়ো কল করত সুকেশ, এবং জেলের ভিতরেই আস্ত অফিসের সেট-আপ তৈরি করে ফেলেছিল সে। তাই জ্যাকলিন বুঝতেই পারেননি একজন জেলবন্দি অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
যদিও জ্যাকলিনের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সুকেশের আইনজীবী। তাঁর কথায়, সাত মাস ধরে যোগাযোগ ছিল দুজনের। যদিও মাত্র দু-বারই দেখা হয়েছে তাঁদের। তবে সাত মাস সময়টা কারুর ব্যাপারে জানবার জন্য যথেষ্ট। নিজের গা বাঁচাতে না-জানবার ভান করছেন অভিনেত্রী, এমনই দাবি আইনজীবীর।
তিনি আরও যোগ করেন, সুকেশ সম্পর্কে গুগল সার্চ করলেই সবটা জানা যেত। সুকেশ ও তাঁর স্ত্রী লীনাও বলিউডের অংশ। লীনা মাদ্রাস ক্যাফে ছবিতে অভিনয় পর্যন্ত করেছে। সুকেশ মুম্বই-তেও একবার গ্রেফতার হয়েছিল, তাই সুকেশ কে বা তাঁর পরিচয় কী? এটা জানাটা জ্যাকলিনের কাছে খুব সহজ ব্যাপার।