নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে ৫০০-র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন 'তিনি'। সুদূর হলিউডেও যথেষ্ট সুপরিচিত তাঁর নাম। অস্কারজয়ী বিশ্ববিখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তা সত্ত্বেও নিজের দেশের লোকই তাঁকে চিনতে পারলেন না।এহেন 'রিয়েলিটি চেক'-এর পর লজ্জায়,দুঃখে কাঁদো কাঁদো মুখে 'আত্মহত্যা' করার কথা জানালেন অনুপম খের! আসুন, জানা যাক পুরো বিষয়টি।
ভূ-ভারতে অনুপম খেরকে চেনেন না এমন মানুষ আছে কি না সন্দেহ। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত পরিচিত তাঁর মুখ। তবে ওই যে সত্যি মাঝে মাঝে কল্পনার থেকেও বিস্ময়কর হয়। অনুপমের ক্ষেত্রেও এই প্রাচীন প্রবাদ খেটে গেল ফের একবার। গত কয়েকদিন ধরে হিমাচলে নিজের গ্রামে মায়ের কাছে গিয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেতা। তা সেখানে থাকাকালীনই স্বাস্থ্যচর্চার খাতিরে একদিন ভোর ভোর হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। হাঁটার মাঝেই পথের মধ্যে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। একথা সেকথার পর জ্ঞান চাঁদ ঠাকুর নামের ওই ব্যক্তিকে অনুপম জিজ্ঞেস করেন উনি তাঁকে চেনেন কি না। সরল ভাবে সেই ব্যক্তি সেই প্রশ্নের জবাবে না বলেন। এরপর অভিনেতা নিজের মাস্ক খুলে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে এবার তাঁর মুখ দেখে চেনা লাগছে কি না। এবারও হাসির সঙ্গে জবাব আসে না। মরিয়া অনুপম জিজ্ঞেস করে ওঠেন, 'দাদা কি সিনেমা টিনেমা দেখেন?' ওপাশ থেকে জবাব ভেসে আসে, 'দেখি তবে কম।'
গোটা ঘটনাটি এতক্ষণ তিনি নিজেই পিছনে রেকর্ড করছিলেন। এরপর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি এই বিখ্যাত অভিনেতা। ভিডিও থেকেই স্পষ্ট যারপরনাই অবাক হয়েছেন অনুপম। তারপর মজা করেই মুখ চোখ কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে ওঠেন, 'এই লজ্জা আমি লুকোই কোথায়? এক বালতি জলে ডুবে মরতে ইচ্ছে করছে আমার!' এই না বলে জ্ঞান চাঁদ ঠাকুরকে পা ঠুকে স্যালুটও জানান তিনি। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা ভদ্রলোক অনুপমের এই কান্ড দেখে ততক্ষণে হেসে কুটোপাটি।
গোটা ঘটনাটির ভিডিও ইনস্টাগ্রামে নিজের দেওয়ালে আপলোড করে অভিনেতা লিখেছেন এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারে ৫১৮টি ছবি করার পরে তাঁর দৃঢ় ধারণা ছিল ভূ ভারতে একডাকে সবাই তাঁকে চেনেন। তাঁর ছবির সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু তিনি যে কত বড় ভুল ছিলেন তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়। হিমাচলের রাস্তায় এই 'রিয়েলিটি চেক' তাঁর জন্য যেমন খানিকটা দুঃখের ছিল তেমন মজারও ছিল। ওই ভদ্রলোকের এই না চিনতে পারা যে তাঁকে 'মাটির কাছাকছি' থাকতে সাহায্য করবে তাও জোর গলায় জানিয়েছেন অনুপম।