শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশ অশান্ত। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। এ-খবর এতক্ষণে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হলেন অভিনেত্রী হিনা খান।
‘যা ভুল তা ভুল’
হিনা নিজে অসুস্থ। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। তবে তারপরও বাংলাদেশের খবর চোখ এড়ায়নি তাঁর। রবিবার তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন হিনা। তিনি লেখেন, 'দেশ, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নিরপরাধ মৃত্যু মানবতার মৃত্যু। যেকোনো সম্প্রদায়কে এমন জঘন্য ঘটনার মধ্য দিয়ে কেন যেতে হবে! যা ভুল তা ভুল। যে কোনোও দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্ত দেওয়ে একটা মৌলিক বিষয়।'
হিনা আরও বলেন, 'সারা বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে। কারণ আমার কাছে মানবতাই সবার আগে। আমি প্রার্থনা করি যে বাংলাদেশের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরা যেন তাঁদের নিজের দেশে নিরাপদে থাকেন।
বাংলাদেশ নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত এর আগেই সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্থান আসলে হিন্দুদের উপর সহিংসতা বৃদ্ধির পরিণাম। কঙ্গনা রানাওয়াত দাবি করেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা আসলে সব ইসলামি প্রজাতন্ত্রেরই বৈশিষ্ট্য, যেখানে সব সময় অন্য ধর্মকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়।'
কঙ্গনার কথায়, ‘মুসলিম দেশে কেউই নিরাপদ নন, এমনকি মুসলমানরাও নয়। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ব্রিটেনে যা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ভাগ্যবান যে রামরাজ্যে বাস করছি’।
শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘ভারত আমাদের চারপাশের সমস্ত ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের আদি মাতৃভূমি। আমরা সম্মানিত এবং খুশে যে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতে নিরাপদ বোধ করেন। কিন্তু যাঁরা ভারতে থাকেন এবং জিজ্ঞাসা করেন কেন হিন্দু রাষ্ট্র? কেন রামরাজ্য? তাঁদের বলি, এখানেই এর কারণ স্পষ্ট!’