২০০৭ সালে ‘আনোয়ার’ সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক হিসেবে গান গেয়েছিলেন শিল্পা রাও। ‘বাচনা এ হাসিনো’ সিনেমার খুদা জানে গানটি হোক অথবা ‘লাল সিং চাড্ডা’-র তেরে হাওয়ালে, শিল্পার গান মানেই অন্তরের ভালোবাসা। সম্প্রতি লখনউ থাকাকালীন একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি সংগীত নিয়ে কিছু মন্তব্য করলেন।
লখনউ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার বাবা যখন কাজের সূত্রে লখনউ আসতেন, তখন থেকেই এই শহরে আমার আসা যাওয়া শুরু হয়। এই শহর থেকে মায়ের জন্য চিকনকারি শাড়ি এবং আমার জন্য শুট কিনে আনতেন বাবা। এই শহরের খাবার এবং ভাষার প্রেমে আমি পাগল, তাই বারবার ফিরে আসি এই শহরে।’
আরও পড়ুন: ‘একদিন তুমি আমার মা হবে…', সেদিন সলমনের এই কথায় আমি হতভম্ব হয়ে যাই: দিয়া মির্জা
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত বাংলাদেশে পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের শোয়ে চরম বিশৃঙ্খলা, বিস্ফোরক অভিযোগ দর্শকদের
ভারত এবং পাকিস্তানের সংগীত সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন পাকিস্তানি কম্পজিশন এবং গান শুনি তেমন ওঁরাও আমাদের গান শোনেন। সঙ্গীত যে ভাষা এবং দেশের সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করতে পারে তা এটা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।’
সংগীতের একাল ও সেকাল বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি ছয় মাসে শিল্পের পরিবর্তন হয়। একটা সময় ইন্ডাস্ট্রিতে নারী কন্ঠের অভাব ছিল ঠিকই কিন্তু আজ তার কোনও অভাব নেই। মহিলা পরিচালিত অ্যালবাম, গান এমনকি সিনেমা আপনি পেয়ে যাবেন এখন।’
আরও পড়ুন: বাবা রোম্যান্টিক হিরো, আর ছেলে কিনা কমিক! একঘেয়ে চরিত্র করে করে ক্লান্ত তুষার?
আরও পড়ুন: কেন কখনওই স্ত্রী ও মেয়েকে ছবির সেটে নিয়ে যেতে চাইতেন না? অনন্যার সামনে মুখ খুললেন চাঙ্কি
অটো টিউন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অটো টিউন একটি উপসর্গ মাত্র, মূল সমস্যা একেবারেই নয়। আসলে মানুষ এখন গান শেখার জন্য সময় নিচ্ছে না, তার আগেই ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করছে। একজন মানুষ যদি ভালোভাবে গান শিখে গান করে তাহলে নিশ্চয়ই তাঁর উন্নতি হবে, সঙ্গে গোটা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে। তাই গান না শেখাটাই হলো আসল সমস্যা।’