গত বছর ২৪শে মার্চ আচমকাই প্রয়াত হন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। দেখতে দেখতে প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত। মাত্র ৫৮ বছরেই না ফেরার দেশে চলে যান নব্বইয়ের দশকের টলিউড কাঁপানো নায়ক। ১৪ই মার্চ বাবার বাৎসরিক কাজ সারল মেয়ে ডল ওরফে সাইনা। অভিষেকের অকালমৃত্য়ু মেনে নিতে পারেনি তাঁর অনুরাগীরা। একটা অদ্ভূত শূন্যতা সকলেই ঘিরে ধরেছিল অবিষেকের মৃত্যুর পর। প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী চোখের কোণে জল নিয়েও বারবার জানিয়েছেন অভিষেক তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। সশরীরে নেই তবে অভিষেকের উপস্থিতি তিনি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেন। এদিন একই কথা অভিষেক-পত্নী সংযুক্তার গলায়।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে অভিষেকের বাৎসরিক কাজের নানান মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন সংযুক্তা। অভিষেকের মৃত্যুর পর তাঁর ফেসবুক থেকে নিয়মিত পোস্ট করেন সংযুক্তা। এইভাবেই অভিষেকের ভালোবাসার মানুষজনের সঙ্গে জুড়ে থাকেন তিনি। প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের এক বহুতলে স্ত্রী আর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকতেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সেই বাড়ি এদিন রজনীগন্ধায় মোড়া।
স্বামীর বাৎসিক কাজ সারেন সংযুক্তাও। সেই মুহূর্তের ছবি সোশ্যালে ভাগ করে তিনি লেখেন, ‘ওঁর দিন, ওঁর মতো করে…. সাঁইবাবা আমাদের পথ দেখানোর জন্য ধন্যবাদ’। অভিষেকের মতো করে কীভাবে এই দিনটা পালন করেন সংযুক্তা আর সাইনা? অভিষেকের স্ত্রী জানান, ‘অভির কথামতোই ঘরটা সাজিয়েছি। আমি আর অভি দুজনেই সাঁইবাবার ভক্ত। সেইমতো ৯ আর ১১ নম্বরটা লাকি মনে করি। এদিন ৯টা বাচ্চাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। স্বপ্নে মেনুটাও অভিই বলে দিয়েছে।’ কী ছিল মেনুতে? লুচি, আলুরদম, ভাত-ডাল, ঝুরো আলুভাজা, দই মাছ, মটন কষা।
বাবার বাৎসরিক কাজ সারবার সময় একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল তাঁর ১২ বছরের কন্যা, তবে তাঁকে সামলে নেন সংযুক্তা। গত বছর একটি রিয়ালিটি শো-এর শ্যুটিং অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিষেক। তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি অভিষেক। পরে রাতে বাড়িতে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়, এবং ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
জীবনপথে এগিয়ে চলবার জন্য অভিষেক কন্যাকে সবসময়ই ভালোবাসা ও আর্শীবাদ জানায় প্রয়াত অভিনেতার ভক্তরা, এদিনও ডলকে সকলে আর্শীবাদে ভরিয়ে দিল। বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করে অভিনয় জগতে পা রাখতে আগ্রহী সাইনা। তাঁর কথায়,'আমি অভিনয় করতে পারি। আমি অভিনেত্রী হতে চাই। কিন্তু আমার কাছে এখনও কোনও সুযোগ আসেনি'। সংযুক্তার ইচ্ছে মেয়ে অভিনয় করলে যেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তত কাজ না করে, অভিষেকও নাকি তেমনটাই চাইতেন।