'বন্ড...জেমস বন্ড!' হলিউডের ইতিহাসে নির্দ্বিধায় আইকনিক সংলাপের মধ্যে অন্যতম এটি। আর এই সংলাপের বক্তাকে কেন্দ্র করা তৈরি হওয়া ছবির সিরিজ সম্ভবত সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় সিরিজের মধ্যে একটি। জেমস বন্ড। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্টি এই ব্রিটিশ এজেন্টের ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে। ক্ষুরধার বুদ্ধি, অদম্য সাহস, পাথুরে মন এবং সবরকমের অস্ত্রে চালানো নিপুণ এই 'এমআই সিক্স'-এর এজেন্ট। ও হ্যাঁ, সুন্দরী নারী এবং চোখধাঁধানো সব গাড়ি ছাড়া অসম্পূর্ণ বন্ড-এর চরিত্র। গত ষাট বছর ধরে বড়পর্দায় যে যে অভিনেতারা 'বন্ড' এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে এক লহমায় সময় লাগেনি তাঁদের।নরম তর্ক থাকলেও এই অভিনেতাদের মধ্যে সম্ভবত সবথেকে জনপ্রিয় ড্যানিয়েল ক্রেগ।
'বন্ড...জেমস বন্ড!' হলিউডের ইতিহাসে নির্দ্বিধায় আইকনিক সংলাপের মধ্যে অন্যতম এটি। আর এই সংলাপের বক্তাকে কেন্দ্র করা তৈরি হওয়া ছবির সিরিজ সম্ভবত সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় সিরিজের মধ্যে একটি। জেমস বন্ড। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্টি এই ব্রিটিশ এজেন্টের ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে। ক্ষুরধার বুদ্ধি, অদম্য সাহস, পাথুরে মন এবং সবরকমের অস্ত্রে চালানো নিপুণ এই 'এমআই সিক্স'-এর এজেন্ট। ও হ্যাঁ, সুন্দরী নারী এবং চোখধাঁধানো সব গাড়ি ছাড়া অসম্পূর্ণ বন্ড-এর চরিত্র। গত ষাট বছর ধরে বড়পর্দায় যে যে অভিনেতারা 'বন্ড' এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে এক লহমায় সময় লাগেনি তাঁদের।নরম তর্ক থাকলেও এই অভিনেতাদের মধ্যে সম্ভবত সবথেকে জনপ্রিয় ড্যানিয়েল ক্রেগ।
|#+|
তবে গত বছর দুয়েক ধরেই বন্ড ফ্যানরা মেতেছেন একটি তর্কে। এক পক্ষের মতে, অনেক তো হল এবার '০০৭' এর ভূমিকায় দেখানো হোক কোনও নারীকে। তাতে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধেও হয়ত জোরদার বার্তা দেওয়া যাবে এবং গ্লোবালাইজেশনের যুগের সঙ্গেও পাল্লা দেওয়াও যাবে।ওদিকে স্বাদ ব্দলের ব্যাপারটা তো রইলই। তবে প্রাচীনপন্থী বন্ড ফ্যানরা অবশ্য 'প্রোটেস্টান্ট বন্ড লাভারদের' এই সম্ভাব্য যুক্তি স্রেফ মাছি তারার মত উড়িয়ে দিয়েছেন।হলিউডের বিভিন্ন তারকারাও এই তর্কে অংশগ্ৰহণ করেছেন। এবার এই ব্যাপারে খুললেন বর্তমান ‘জেমস বন্ড’ ড্যানিয়েল ক্রেগ স্বয়ং।
তর্কের সূত্রপাত যখন ড্যানিয়েল ঘোষণা করেছিলেন 'নো টাইম টু ডাই' হতে চলেছে বন্ড হিসেবে তাঁর শেষ ছবি। এরপরেই বন্ড-ভক্তদের একাংশের মধ্যে থেকে দাবি ওঠে '০০৭'-কে এবার নারী রূপে দেখানো হোক। এতদিন চুপ থাকলেও রেডিও টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে 'বন্ড' ছবির ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এই তারকা বললেন, 'আগে আমাকে বলুন, কেন বন্ডকে নারী হিসেবে পেশ করা হবে? প্রয়োজনটা ঠিক কী? আদপেই তার কোনও দরকার আছে কি?' সামান্য থেমে অল্প কথায় 'বন্ড' বললেন, ' কেন খামোখা একজন মেয়ে বন্ডের চরিত্র অভিনয় করতে যাবেন, যেখানে বন্ডের ছবিতে তাঁর মতোই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে দিব্যি অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে মেয়েদের। আবার বলছি, সুযোগ রয়েছে যেকোনও বর্ণের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের!'
অবশ্য 'নো টাইম টু ডাই' ছবিতে ড্যানিয়েলের সহ-অভিনেত্রী লাসানা লিঞ্চ যদিও ড্যানিয়েলের মতের সঙ্গে একমত নন। 'বন্ড' এর চরিত্রে অভিনয় করার আগ্রহ দেখিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। তবে এটাও ঠিক হেনরি কেভিল, টম হিডলস্টোন, ক্রিস হেমসওয়ার্থ, টম হার্ডি, ইদ্রিস এলবার মতো বিশ্ববিখ্যাত সব হলিউড তারকারা পর্দায় ' জেমস বন্ড' হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। সুতরাং,পাল্লা যে তাঁদের দিকেই ভারি তা আলাদা করে লেখার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে শেষপর্যন্ত কে ক্রেগের ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলিয়ে নতুন বন্ড হয়ে উঠবেন আপাতত তা জানার জন্য অপেক্ষা করে ছাড়া উপায় নেই!