পাহাড়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অগাধ। শ্যুটিং থেকে ছুটি মেলা দায়! তাই পুজো হলে মন পালাই পালাই! আর্মি পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে সুরভী মল্লিক মানে হরগৌরী পাইস হোটেলের মিতালি। সদ্য বঁধুয়া শেষ হয়েছে। আপতত সুরভী নতুন কোনও কাজ শুরু করেননি। এই বছর পুজোয় কী পরিকল্পনা তাঁর? আরও পড়ুন-‘অশৌচ’ বলেও বাড়িতে পুজোর আয়োজন! কারণ জানাতেই ট্রোলড আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ, পোস্ট মুছলেন শ্রুতি
মুচকি হেসে নায়িকার জবাব, ‘আমি আর্মি পরিবারে বড় হয়েছি। বাবার বদলির চাকরি, সেই সূত্রে ছোটবেলায় দুর্গাপুজোতে আমি কলকাতায় দাদু-ঠাকুমার কাছে ঘুরতে আসতাম। এখন খানিক উলটো ছবি। এখন পুজো ছাড়া টানা ছুটি মেলে না, তাই পুজোয় আমি বাইরে কোথাউ ঘুরতে যাই। যদিও এই বছর এখনও কোনও প্ল্যানিং সেরে উঠতে পারিনি। তবে কোথাউ যাব নিশ্চই’।
সুরভির সংযোজন, ‘ছোটবেলার পুজোতে কাজিনদের সঙ্গে দারুণ একটা সময় কাটত, এখন সবাই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এখন আর প্রতিবছর সেই মিলনটা হয় না। সেটা মিস করি’। সুরভীর কাছে পুজোর সাজ মানেই সাবেকি। ঘুরতে গেলেও সালোয়ার সঙ্গে রাখতে ভোলেন না। জানালেন, ‘আমি ঘুরতে গেলেও ঠিক খুঁজে খুঁজে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল বার করে ফেলি, আর মায়ের দর্শন সারি’। বাঙালি মেয়েদের কাছে দুর্গাপুজো মানেই শাড়ি, কিন্তু আমার বেড়ে ওঠাটা যেহেতু বাংলার বাইরে, তাই আমি শাড়িতে খুব বেশি অভ্যস্ত নই। বরং সালোয়ার, শারারা এইগুলোতে স্বচ্ছন্দ। কিন্তু অবশ্যই পুজো মানে সাবেকি সাজেই নিজেকে সাজাতে ভালোবাসি'।
এই বছর পুজোতেও নিজের এবং পরিবারের জন্য কেনাকাটা চলছে, বাকি মেয়েদের মতোই শপিং এখনও কমপ্লিট হয়নি! জানাতে ভুললেন না সুরভী। দুর্গাপুজো মানেই প্রেমের আলতো ছোঁয়া। সুরভীর জীবনে অবশ্য তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই বলেই জানালেন, ‘না, আলাদা করে পুজোর প্রেম-টেম নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। আমার এমন কোনও অভিজ্ঞতাও নেই সত্যি বলতে।’
বঁধুয়ার সফর নিয়ে সুরভী জানালেন, ‘আমি মাত্র ২-৩ মাসই এই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। কিন্তু খুব সুন্দর একটা জার্নি। অল্প সময়ে সকলে আমাকে আপন করে নিয়েছিল। দুর্দান্ত একটা চরিত্র, এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে কেউই ভাবেনি। তবে কোনও আফসোস নেই। মজা করে কাজটা করেছি’। নতুন প্রোজেক্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে সুরভীর। সেটা ক্রমশ প্রকাশ্যে, জানালেন অভিনেত্রী।