‘এ কেমন হিরো? কোনও কথাই বলে না! আমায় দেখলেই বিরক্ত হয়!’
এ সব বলে অর্জুনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসলেন মিমি। এখানেই শেষ নয়, শোনালেন আরও দু’কথা। তার পরে? কোথায় হল এ সব কাণ্ড?
সম্প্রতি দু’জনে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘খেলা যখন’ নামর ছবিতে। সেই ছবির প্রচারে ফিভার এফএম-এ অফিসে হাজির হয়েছিলেন দু’জনে। আর সেখানেই অর্জুনের নামে এই সব বলা শুরু করলেন মিমি।
তবে আড়ালে নয়। এ সব কাণ্ডের সময়ে অর্জুন বসেছিলেন পাশেই। আর মিটিমিটি হাসছিলেন। ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে?
মিমি আর অর্জুনের একসঙ্গে প্রথম কাজ ‘গানের ওপারে’ নামের ধারাবাহিকে। সেই অভিজ্ঞতার কথাই তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মিমি বলেছেন, ‘ও কোনও দিন কথা বলত না আমার সঙ্গে।’ তাতে পাশ থেকে অর্জুন বলেন, ‘সারা জীবনই অসামাজিক ছিলাম। এখন তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছি।’ দেখে নেওয়া যাক, পরপর কী বললেন তাঁরা।
মিমি: তখন আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন এসেছি।
অর্জুন: আমি তো তার আগে ৫০ বছর ছিলাম।
মিমি: অন্তত তুমি এমন পরিবারের, যে পরিবার এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। আমার জন্য তো পুরো নতুন। মনে হত, যদি আমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়!
এর পরেই মিমি বলেন, ‘দেখতাম, হিরো কথা বলে না। লোকে বলত, তোমাদের কেমিস্ট্রি... কিন্তু কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, বায়োলজি কিছুই নেই।’
মিমি: না ও আমার সঙ্গে কথা বলত। তার পরে একটা ছবি করলাম একসঙ্গে। সেখানে তো ওর আমায় দেখলে বিরক্তি হত।
অর্জুন: ওটা ওর ধারণা।
মিমি: তার পরে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এলাম। ‘ক্রিসক্রস’ বলে একটা ছবি করলাম। সেখানেও আমার সঙ্গে কথা বলেনি।
অর্জুন: মাত্র ৩ দিনের কাজ ছিল সেখানে।
মিমি: মাত্র ৩ দিনের কাজ বলে, তুমি সহশিল্পীর সঙ্গে কথা বলবে না! এর পরে ‘খেলা যখন’-এর সময়ে আমার টিম বলল, অর্জুনকে ট্যাগ করা যাচ্ছে না। কারণ ও তোমায় ফলো করে না।
এর পরে মিমি জানান, তাঁর কাছে অর্জুনের ফোন নম্বরও ছিল না। তবে গোটা ‘মান-অপমান’-এর পুরোটাই মজা করে। আর সেটি পাশে বসে পুরোদস্তুর উপভোগও করেছেন অর্জুন।