সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহরুখ, সলমন, আমিরের থেকে কোনও অংশ কম জনপ্রিয় নন পতৌদির ছোটে নবাব। তৈমুর আলি খানের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক,ইন্সগ্রামে তাঁর ন্যানির মুখও এখন পরিচিত। তৈমুরের ছায়াসঙ্গী তিনি। হামেশাই তৈমুরকে আগলে রাখেন তিনি। পাপারাৎজিরদের ক্যামেরায় হামেশাই তৈমুরের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন তিনি। এমনিতে তৈমুরের মতো তাঁর ন্যানিও বেশ মিডিয়া ফ্রেন্ডলি, তবে ছোটে নবাবের কাছে ঘেঁষতে দেন কাউকে! তৈমুরের সব ভাল-মন্দ বুঝে নেওয়ার গুরু দায়িত্বে যে তাঁর কাঁধেই রয়েছে।
তৈমুরের ন্যানি মাসে কত টাকা আয় করেন নেটিজেনদের সেই নিয়েই জল্পনার অন্ত নেই। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে করিনাকে ফের একবার এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়, তাতে নবাব বেগমের সাফ জবাব, 'আমি তো কারুর মাইনে প্রসঙ্গে কোনও কথা বলি না।দুঃখিত'।
এর আগে আরবাজ খানের চ্যাট শোতেও তৈমুরের ন্যানির মাসিক বেতন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন করিনা। আরবাজ বলেছিলেন এটা কি সত্যি যে তৈমুরের ন্যানি বেতন অনেক আমলাদের থেকেও বেশি? করিনার জবাব ছিল- যারা এইসব বলছেন তারা কি করে জানলেন? এটা তো সংশ্লিষ্ট দফতরকে আগে জানাতে হবে আমলাদের বেতন কত? যতক্ষণ তোমার সন্তান সুরক্ষিত আর খুশি আছে ততক্ষণ কোনও জিনিসের মূল্য হিসেব করা ঠিক নয়। সেটা কোনও দাম হতে পারে না।
বলিপাড়ার জোর জল্পনা শোনা যায় তৈমুরের ন্যানির মাসিক বেতন দেড় লক্ষ টাকা। ওভার টাইম মিলিয়ে মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আয় করে থাকেন তৈমুরের ন্যানি। তবে ঐ যে করিনার কথায় তৈমুর খুশি থাকলে এই টাকার অঙ্কটা বোধহয় খুব বেশি গুরুত্ব পাবে না সইফ-করিনার কাছে।
ডিসেম্বরেই তিন বছর পূর্ন করল তৈমুর। তৈমুরের জন্মদিনে গ্র্যান্ড পার্টিরও আয়োজন করেছিলেন বেবো। সেখানে হাজির হয়েছিল বলিউডের স্টারকিডরা।
মিডিয়ার মধ্যমণি তৈমুর- এই বিষয়টা নিয়ে কখনও কখনও নিজেদের চিন্তাও প্রকাশ্যে এনেছেন সইফিনা। ‘আমি চাই আমার ছেলে আর পাঁচটা শিশুর মতোই সাধারণ জীবনযাপন করুন’,টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন সইফ। অভিনেতা আরও জানান, ওর মন না থাকলে ও বলে দেবে ছবি তুলবে না..তারপর গটগট করে হেঁটে চলে যাবে..তৈমুর ওরকমই। ও সেটাই করে যেটা ওর মন চায়’।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছে করিনা অভিনীত গুড নিউজ। ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে ১৮১ কোটি টাকার ব্যবসা করে নিয়েছে এই ছবি। অন্যদিকে সইফ অভিনীত তানাজি মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার।