পরপর দু'দিনে ভারতীয় সিনেমার দুই নক্ষত্রের পতন। বুধবার সকালের শুরুটা হয় ইরফান খানের প্রয়াণ সংবাদ দিয়ে। আর বৃহস্পতিবার সকালের শুরুটা হল ভারতীয় সিনেমার অন্যতম লেজেন্ড ঋষি কাপুরের প্রয়াণ সংবাদ দিয়ে। এই দুই তারকার প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত বিশ্ব সিনেমা। ১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুরের প্রযোজনা 'মেরা নাম জোকার' সিনেমার মধ্যে দিয়ে বলিউডে পা রাখেন সকলের প্রিয় ঋষি কাপুর। এরপর লম্বা ইনিংস। প্রথমে হিরো, পরে চরিত্র অভিনেতা, নিজের অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে দাগ কাটেন তিনি।
কিন্তু এর বাইরেও ঋষি কাপুরের একটা আলাদা জগত ছিল। টুইটারে রীতিমত অ্যাক্টিভ ছিলেন তিনি।অন্য সেলেবদের মতো পলিকিটালি কারেক্ট নয়, অনেক সময়ই বিতর্কিত টুইট করতে পিছপা হতেন না তিনি। একই সঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় দিতে পারতেন গুরুগম্ভীর বার্তা।
মদের দোকান কেন খোলা নেই লকডাউনে, সবার মনের প্রশ্ন তুলে ধরেন তিনি। এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
কিন্তু শুরুটা হয়েছিল অনেক আগে। গরুর মাংস খাওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্ক যখন উত্তাল সারা দেশ, সেই সময়ে ঋষি কাপুরের দ্বারা টুইটে করা 'বাপ কা মাল' মন্তব্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছিল নেটিজেনদের মনে।
তাঁর আকর্ষণীয় টুইটের জাদুতে ৩.৫ মিলিয়ন ফলোয়ার ছিল তাঁর। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর টুইটকে সেক্সিস্ট বলে বিরোধিতা করেন নেটিজেনরা। অনেক ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক মতামত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সমালোচনার পরোয়া না করে নিজের খেয়ালেই নেটিজেনদের কাছে মতামত পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এক ঝলকে দেখুন তাঁর কিছু বিতর্কিত টুইট-
আজকের দিনে যেখানে অধিকাংশ সেলিব্রিটি পেশাদারদের সাহায্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, সেখানে ঋষি কাপুর ছিলেন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। যেভাবে নিজের জীবন কাটিয়েছেন, সেভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিলেন তিনি। ঠোঁটকাটা, বিতর্কিত ও পলিটিকালি ইনকারেক্ট মতামত, এর জন্যেই নেটিজেনদের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর টুইট ছিল মুচমুচে পপকর্নের মতো। তাই শুধু অভিনেতা নয়, টুইটার স্টার ঋষি কাপুরকেও মিস করবে জনতা।