শুক্রবার মুম্বইয়ে ‘রকেট বয়েজ সিজন ২'-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন হৃতিক রোশন এবং সাবা আজাদ। এ দিন পরস্পরের হাতে হাত রেখে রেড কার্পেটে পাপারাৎজ্জির উদ্দেশ্যে পোজ দেন তারকা জুটি। তাঁদের নতুন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। জমকালো পোশাকে বেশ স্টাইলিশ লুকে ধরা দিয়েছেন এই জুটি।
এ দিন কালো শার্ট এবং কালো প্যান্টের সঙ্গে কালো ব্লেজার পরে হাজির হন হৃতিক। কমলা রঙের মুনগ্লাসে হৃতিকের জেল্লা যেন আরও কয়েক গুন বাড়িয়ে তুলেছে। সাবার লুক যেন খানিক হটকে। ডিপ নেক সাদা গাউন পোশাকে ধরা দেন সাবা। কোকড়ানো চুল, লাল লিপস্টিকে পুরো পুতুল পুতুল দেখাচ্ছে গায়িকাকে।
সাবার পাশাপাশি ‘রকেট বয়েজ ২’ কাস্ট জিম সর্বে, ইশওয়াক সিং, রেজিনা ক্যাসেন্ড্রা এবং অন্যান্যরা হাজির ছিলেন মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত এই স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে। রেজিনা মেটালিক রঙের পোশাকে ধরা দিয়েছিলেন। একটি কালো শার্টের সঙ্গে ফ্লোরাল ব্লেজার, ট্রাউজার সেট পরে ধরা দেন জিম সর্বে। আরও পড়ুন: কালারফুল মনোকিনিতে ‘চারু’, মলদ্বীপে ওয়াটার বেবি হয়ে ধরা দিলেন অদ্রিজা
গত বছর থেকেই প্রেম করছেন হৃতিক রোশন আর সাবা আজাদ। যদিও এই সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ৪৮ বছরের হৃতিক আর ৩৬ বছরের সাবার প্রেম অনেকেই ভালো চেখে নেয়নি। তবে প্রেমিকাকে কখনওই লোকচক্ষুর আড়ালে রাখেননি হৃতিক। সাবার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই খুল্লামখুল্লা অভিনেতা। প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরই সাবা আজাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান হৃতিক। প্রেমিকের পরিবার এবং দুই ছেলের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সাবার।
সাবা আজাদের আসল নাম সাবা সিং গ্রেওয়াল। সাবা একজন মডেল, সিঙ্গার ও অভিনেতা। ২০০৮ সালে বলিউডের সিনেমা ‘দিল কবাডি’ দিয়ে ডেবিউ। ২০১১ সালে অভিনয় করেছেন ‘মুঝসে ফ্রেন্ডশিপ করোগে’ সিনেমাতে। ২০২১ সালে অভিনয় করেছেন ‘ফিলস লাইক ইশক’ ছবিতে। ছোট থেকেই থিয়াটার, সিনেমা-নাচ-গানের জগতে তাঁর বেড়ে ওঠা।
চলতি বছর নাকি হৃতিক আর সাবা তাঁদের এই সম্পর্কটাকে একটি নতুন মাত্রা দিতে চলেছেন। একটি ভাইরাল হওয়া টুইটে দাবি করা হয়েছে যে এই দুই তারকা নাকি ২০২৩ -এর নভেম্বরেই গাঁটছড়া বাঁধবেন। যদিও এখনও তাঁরা কেউই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। এটাই প্রথমবার নয় যখন হৃতিক সাবার বিয়ে নিয়ে চর্চা হতে দেখা যায়। এর আগে ২০২২ -এর নভেম্বরে অভিনেতা টুইটারে একটি পোস্ট করে এসব ভাইরাল ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সরব হন।
কেউ কাজের বদলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন কেমন মনে হয় সাবার? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘এটা আমাকে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করায়। দীর্ঘদিন ধরে জিনিসটা চলে আসছে। মহিলাদের পুরুষদের জীবনে একটা সুবিধা হিসেবে দেখা হয়। এটা আর কিছু নয়, স্রেফ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ফসল। বহুদিন এটা চলে আসতে আসতে অনেকদূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় জিনিসটা এখন পাল্টাচ্ছে। মহিলারা এখন সমাজের সব স্তরে, সর্বক্ষেত্রে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁরা পুরুষদের মতোই সাফল্য পাচ্ছে’।