লকডাউন শুরুর আগেই প্রাক্তন স্বামী হৃত্বিক রোশনের বাড়িতে থাকবার সিদ্ধান্ত নেন সুজান খান। প্রাক্তন স্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা মার্চ মাসেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন হৃত্বিক। ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সুজানের এই মর্মস্পর্শী সিদ্ধান্তকে। এবার নিজের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন সুজান। ভোগ ইন্ডিয়াকে তিনি জানিয়েছেন এটা এক্কেবার ‘বুদ্ধিদীপ্ত এবং প্রাণবন্ত একটা সিদ্ধান্ত’।
আমরা উপলব্ধি করেছিলাম যে আগামী দিনগুলোতে আমাদের এনার্জিগুলো একত্রিত করাটা খুব জরুরি,দায়িত্বশীল বাবা-মা হিসাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোটা জরুরি। সেই ভাবনা নিয়ে, আর অনেক ভালোবাসা নিয়ে আমরা আমাদের লকডাউনের এই রোমাঞ্চকর জার্নিটা শুরু করেছিলাম’।
লকডাউনের প্রথমদিনই নাকি সারাদিন কেমনভাবে কাটাবেন তাঁরা, তার একটি লম্বা তালিকা প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন এই প্রাক্তন দম্পতি। যার নান দেওয়া হয়েছে-কোয়ারেন্টাইন অ্যাক্টিভিটিস। সুজান বলেন, আমারা চেয়েছি দিনটা এমনভাবে সাজাতে যাতে আমাদের মনশীলতা বৃদ্ধি পায়,আমাদের মন সতেজ থাকে,শরীর ফিট থাকে-বেশি কোনও অপশন না থাকায় নিজেদের সৃজনশীলতাকেই কাজে লাগিয়েছি বলতে পারেন।বেশ আনন্দে দিন কাটছে’।
হৃত্বিক প্রতিদিন একঘন্টার একটা আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়,অন্তত সপ্তাহে পাঁচদিন। ওরা সবাই একটা ঘরে বসে বই পড়ে। সুজানের কথায়,তাঁর দুই পুত্র রেহান ও রিদান দুজনেই সঙ্গীত ভালোবাসে। রেহান তো স্কুলের ব্যান্ডের সঙ্গে জ্যামও করে। রিদানের আঁকার দিকেও ঝোঁক আছে। ডুডুল আঁকতে ভারি ভালোবাসে সে।
সন্ধ্যাবেলায় কী করেন তাঁরা? সুজানের কথায় এই পৃথিবীর সেরা ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্কআউট পর্ব চলে। আর সেই বিশ্বসেরা ট্রেনার হলেন হৃত্বিক রোশন।
সুজান লিখেছেন, ভালোবাসার মানুষগুলোর সঙ্গে যে আত্মীয়তা আমাদের রয়েছে সেগুলো উপভোগ করার মুহূর্ত এটা। আশেপাশের মানুষদের সঙ্গেও আরও একটু বেশি সংবেদনশীল হওয়ার সময়। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব সেই অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, তাঁদের মনে সাহস জোগানো-যে আমরা পাশে আছি। এককথায় এটা বেশকিছু সুন্দর স্মৃতি তৈরির সময়।
মার্চ মাসে সুজানকে নিয়ে হৃত্বিক ইনস্টা পোস্টে লিখেছিলেন,'এটা প্রিয় সুজানের ছবি- আমার প্রাক্তন স্ত্রী। যে সাময়িকভাবে স্বেচ্ছায় নিজের বাড়ি ছেড়ে এখানে এসেছে যাতে আমাদের সন্তানের বাবা-মার মধ্যে কোনও একজনকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য না ছেড়ে থাকতে হয়। ধন্যবাদ সুজান.. এতটা সহায়ক এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া রাখবার জন্য আমাদের কো-পেরেন্টিংয়ের এই যাত্রাপথে'।
২০১৪ সালে দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানেন এই জুটি। তবে দুই ছেলের দায়িত্ব পালনে সর্বদাই একে অপরকে সাহায্য করেন এই এক্স-কপল। বিদেশে ছুটি কাটানো থেকে, মুভি ডেট কিংবা ফ্যামিলি ডিনার-সব সময়ই হৃত্বিকের পাশেই থাকেন সুজান।